কোনো শীর্ষক নেই

ঝড়খালীতে বাঘের পায়ের ছাপ।


প্রশান্ত সরকার, ঝড়খালীঃ কথায় বলে সাপের লেখা আর বাঘের দেখা। সুন্দরবনের মানুষ বাঘ দেখেনি খুব কম মানুষ আছেন।কেউ দেখেছেন সরাসরি কেউ বা খাঁচায় বন্দী। যাইহোক ঝড়খালীর মানুষের কাছে শীতের সময় ভয়ানক হয়ে ওঠে কারণ কোন মুহুর্তে যে বাঘ মামার দেখা মিলবে সেটা কেউ বলতে পারেনা। যেকোনো মুহুর্তে মিলতে পারে বাঘের দেখা।ঘুরতে আশা পর্যটকরা অবশ্যই নিরাপদে থাকেন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এ। কিন্তু সাধারণ মানুষের কুড়ে ঘর যে সম্বল, নদীর ধারে জঙ্গলের পাসের বাড়িঘর গুলি? তাদের চাষের জমিতে যাওয়া। মাঝরাতে নদীতে মিন ধরতে যারা যায় তাদের কি হতে পারে ভেবে দেখেছেন? ১৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে বাঘ হেড়োভাঙ্গার নদী পেরিয়ে ঝড়খালীর লোকালয়ের জঙ্গলে চলে আসেন। সকালে মৎস্যজীবীরা দেখতে পেয়েছেন  বাঘের পায়ের ছাপ। সাথে সাথে খবর চলে যায় বন দপ্তরের কর্মীদের কাছে। বন দপ্তরের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন বাঘটিকে, লোকালয়ের জঙ্গলে আছে কিনা। বন দপ্তরের কর্মীদের প্রথমিক অনুমান বাঘটি তার যথাযথ থাকার পরিবেশ না পাওয়ায় আবার তার আদী বাসস্থানে ফিরে গেছেন। আপাতত রেহাই পেলেন বনকর্মীরা। আবার যদি বাঘ আসেন লোকালয়ে তারজন্য প্রস্তুত আছেন জানালেন  মাতলা রেঞ্জ বনবিভাগের অফিসার নিলরতন গুহ।কিন্তু সাধারণ মানুষের মনের কোনে ভয় থেকেই যাচ্ছে আবার যদি বাঘ চলে আসে?





_____________________________________________


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন