বাসন্তীর রাম চন্দ্র খালীতে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের অভিযানে,বিয়ের মঞ্চ থেকে পালালো বর-
বুধবার দুপুরে নাবালিকা ছাত্রী কে বিয়ে করতে এসে বিয়ের মঞ্চ থেকে বর পালালো চাইল্ড লাইন ও পুলিশের যৌথ অভিযানে।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪পরগনার বাসন্তী থানার রামচন্দ্রখালি গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রামচন্দ্রখালি গ্রামের বাসিন্দা নাবালিকা ছাত্রী দশম শ্রেণিতে পঠন পাঠন করে।তারা তিন বোন।সে সবার বড়।তার বাবা দিন মজুরির কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়।নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পশ্চিম বাসন্তী জমাদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে নাবালিকা ছাত্রীর।এদিন দুপুর ১ টায় ছিল বিয়ের লগ্ন।বর পক্ষ বর কে নিয়ে চলে আসে নাবালিকা কে বিয়ে করার জন্য।এ দিকে বিয়ে বাড়িতে অতিথিরা বিয়ের প্যান্ডেলে খাওয়া দাওয়া করছে।গ্রামের বেশকিছু মানুষজন নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করার জন্য চাইল্ড লাইনে খবর দাও।খবর পেয়ে চাইল্ড লাইনের সদস্যরা এবং বাসন্তী থানার এস আই সুব্রত উপাধ্যায় নেতৃত্বে পুলিশ টিম যৌথ অভিযান চালায় নাবালিকা বিয়ে বন্ধর জন্য।
পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের সদস্যদের দেখতে পেয়ে বর বিয়ের মঞ্চ থেকে উঠে মাঠের মধ্যে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা ছাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র দেখে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে সুজিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেয়। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বলেন মুচলেখা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।আসলে জানা ছিল না বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ। যেহেতু আমরা লেখাপড়া জানি না।এবার জানতে পারলাম ছেলের ২১ বছর আর মেয়ের ১৮ বছর বয়স পূর্ন হলে তবে বিয়ে দেওয়া যাবে।তাই মুচলেকা দিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করে দিলাম।মেয়েকে পড়াশুনা শিখাবো।যত দূর পর্যন্ত মেয়ে লেখাপড়া করতে চায় করুক এবং নিজের পায়ে দাঁড়াক।পুলিশ ও ক্যানিং চাইল্ড লাইনের সদস্য বান্টি মুখার্জী জানান খবর পেয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় মুচলেকা নিয়ে।বিয়ের মঞ্চ থেকে বর পালায়।তবে নাবালক ও নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষজনকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।