ক্যানিং মহকুমা জুড়ে অজানা রোগে মুরগীর মড়ক।

ক্যানিং মহকুমা জুড়ে অজানা রোগে মুরগীর মড়ক।


নিজস্ব প্রতিনিধি |ক্যানিং |শনিবার অজানা রোগে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪ হাজার মুরগীর মৃত্যু হয়।ফলে মাথায় হাত ফার্মের মুরগী চাষীদের।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের নিকাড়ীঘাটা অঞ্চলের দক্ষিণ অঙ্গদবেড়িয়া ও মৌখালি গ্রামে এবং হাটপুকুরিয়া অঞ্চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে অঙ্গদবেড়িয়া ও মৌখালি গ্রামের বাসিন্দা ফার্মের মুরগী চাষী অর্ধেন্দু কয়াল,শশধর সরদার,সঞ্জয় হালদার,বিষ্ণু হালদার।এদিন তারা দেখেন ফার্মে মুরগী ঝিমাচ্ছে এবং বেশ কিছু মুরগী মরে পড়ে আছে।তবে কি কারনে মুরগী মরে যাচ্ছে তা তারা বুঝতে পারছে না।এমনকি মরা মুরগী নিয়ে কি করব তাও তারা জানে না।ফলে যেখানে সেখানে পড়ে আছে মরা মুরগী।আর এ থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস জনিত বিভিন্ন রোগের উপশম এমনি অভিযোগ এলাকাবাসীর।এ দিকে ক্যানি-১ ব্লক জুড়ে অজানা রোগে প্রায় ৪ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মুরগীর মৃত্যু হয়েছে।মুরগী ফার্মের চাষী অর্ধেন্দু কয়ালের ফার্মে ৩ হাজার,শশধর সরদার ফার্মে ৫০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির মুরগীর মৃত্যু হয়।মুরগী চাষীদের মাথায় হাত।বেশকিছু দিন আগে ক্যানিং-২  ব্লকের জীবনতলা থানার দক্ষিণ পাতিখালি গ্রামে ১৭০০ টি মুরগীর মৃত্যু হয় অজানা রোগে।এদিকে অজানা রোগে  মুরগী মৃত্যু ছড়িয়ে পড়েছে মহকুমা জুড়ে।তবে এ বিষয়ে সচেতন করতে বিভাগীয় দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা ফিল্ডে নেমেছে। ৪ ফুট বাই ৪ ফুট মাটি খুঁড়ে প্রথমে চুন ছড়িয়ে দিয়ে মরা মুরগী গর্থে দিয়ে তার উপর চুন ছড়িয়ে মাটি চাপার দেওয়ার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে বিভাগীয় দফতর থেকে।যাতে ভাইরাস ছড়িয়ে না পরে।এ বিষয়ে ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে বলেন বিভিন্ন অঞ্চলে মুরগী মরার খবর আসছে।এ বিষয়ে বিএলডিও পঞ্চায়েত গুলিকে বলা হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।এমনকি বিভাগীয় বিষটি জানানো হয়েছি।তবে মানুষ কে সচেতন করা হচ্ছে।মরা মুরগী কে মাটি খুলে চুন দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন