মাথায় পোকা নিয়ে তিন হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে শিশু।

মাথায় পোকা নিয়ে তিন হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে শিশু।
বিজ্ঞাপন - আপনি কি বেকার?  আপনার স্মার্ট ফোন আছে? তাহলে আপনি প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করুন নিজের মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে। কোনো ডিপোজিট লাগেনা। এখুনি যুক্ত হতে ক্লিক করুন click here... 




নিজস্ব প্রতিনিধি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য নিয়ে  যখন একের পর এক বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন তখন কতিপয় চিকিৎসকের রেফার করার মানসিকতা কালিমালিপ্ত করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কে।আর তার স্বীকার হচ্ছেন আট থেকে আশি সকলেই।যেমন টি ঘটলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার নিকাড়ীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমুখি গ্রামে।এক বছর সাতেকের শিশু খেলতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে শিশুর মাথায় তৈরি হয় ক্ষত। 

সেই ক্ষত থেকে জন্ম নেয় পোকার বংশধর মাথার বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে।শিশুটির মায়ের দাবি, ঘটনার পর প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল, তারপর কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালএরপর সোনারপুর তেঘরিয়াতে মাদার এণ্ড চাইল্ড ইনস্টিটিউটে  নিয়ে যায়। কিন্তু কেউ ভালো করে দেখেনি শিশুকে।এদিকে ছেলের মাথায় পোকা ভরে গেছে যন্ত্রণায় ছটফট করছে।তা দেখে হতাশ হয়ে পড়ি।নিরুপায় হয়ে অবশেষে স্থানীয় গ্রামের এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।তিনিই মাথা থেকে পোকা বের করে দেন।প্রায় শ দুয়েক পোকা বের করা হয় মাথা থেকে।বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।তার চিকিৎসা চলছে।এ দিকে গ্রামবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল টি প্রায় ৩০ একর জমির উপর অবস্থিত।পোর্ট ক্যানিংয়ের  আমলের এই হাসপাতাল।শুধু এই জেলা নয়,উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লক থেকে রোগী আসে এই মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য।অথচ এক বিংশ শতাব্দীতে প্রতিদিন কয়েকশো রোগীকে ঘটি বাটি জায়গা জমি বিক্রি করে চিকিৎসারা জন্য ছুটতে হচ্ছে কলকাতায়,নতুবা দক্ষিণ ভারতের ভেলোরে।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বেও আজও গড়ে ওঠেনি ক্যানিং মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল।তারা আরও বলেন সুন্দরবনের প্রবেশ দ্বার ক্যানিং।আর ক্যানিং মহকুমা দিনের পর দিন লোক সংখ্যা বেড়ে চলেছে।বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষের বসবাস।আর সুন্দরবনে প্রায় ৫০লক্ষ মানুষের বসবাস।এই মহকুমা আজও গড়ে ওঠেনি কোন বিশ্ব বিদ্যালয়,মেডিক্যাল কলেজ,ল কলেজ,এ সি জে এম কোর্ট প্রমূখ উন্নয়নমূলক বিভাগ।এমনকি সরকারি পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বে সরকারি বিভিন্ন দফতর গুলি ভাড়া বাড়িতে চলছে।গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন ক্যানিং মহকুমা নতুন যে রাস্তা গুলি হচ্ছে তা খুবই নিম্ন মানের।বৃষ্টি হলে ক্রংকিটের পাকা ঢালাই উঠে পাথরের মুখ বেড়িয়ে যাচ্ছে।ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনের।এমনকি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির আখরা গড়ে উঠেছে।আগামী দিনে সাধারণ মানুষজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্তর কাজের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে।

           

           

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন