সুন্দরবনের গ্রামীন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসায় বড় ধরনের সাফল্য।
নিজস্ব প্রতিনিধি ।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে অপারেশনে বড় ধরনের সাফল্য।তিন মাস পরে বের হল শরীর থেকে প্রায় সাত ইঞ্চি লম্বা প্লাসটিকের কেট ভাঙার টুকরো।ফলে খুশি রোগীর পরিবারের সদস্যরা।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা ঝড়খালি কোষ্টাল থানার বালিরখাল গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন মন্ডল।তার স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা মন্ডল এবং দুই ছেলেকে নিয়ে কোন মতে সংসার চালায় শ্রমিকের কাজ করে।সে ঠিকাদারের অধীনে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ করতো।চলতি বছরে গত ২১ মার্চ কেষ্টপুরে কল বসানোর কাজে যায় কলের শ্রমিক মনোরঞ্জন মন্ডল।সে কেষ্টপুরের ঠিকাদার সঞ্জীব হাজরার অধীনে কাজ করতো।এদিন দুপুরে গভীর নলকূপ বসানোর জন্য বাঁশের ভাড়া করে দড়ি বাঁধছিল।সেই সময়ে হঠাৎই দড়ি ছিঁড়ে একটি প্লাসটিক কেটের উপর পড়ে গিয়ে ঞ্জান হারিয়ে ফেলে কলের শ্রমিক মনোরঞ্জন মন্ডল ।আর কখন প্লাসটিক কেটে ভেঙে একটুকরো কেট পাছায় ঢুকে যায় তা তখন কেউ বুঝতে পারে নি।বাকী শ্রমিক রা তাকে উদ্ধার করে কলকাতা আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানে চিকিৎসাকরা বুঝতে পারেনি কেটের ভাঙা টুকরো শরীরের বাম দিকে পাছার মধ্যে ঢুকে আছে।পাশাপাশি বাম হাত ভেঙে যায় কলের শ্রমিক মনোরঞ্জন মন্ডলের।সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর কিছু দিনের মধ্যে পেকে পুঁজ হয়ে যায় ক্ষত হয়ে যায়।আর যন্ত্রণা ছটফট করতে থাকে কলের শ্রমিক।এরপর তার বাড়ির সদস্যরা বারুইপুর একটি বে সরকারি নাসিং হোমে ভর্ত্তি করে।সেখানে ৭ দিন চিকিৎসা করে রোগীকে ছেড়ে দেয়।কিন্তু তারাও রোগ ধরতে পারিনি।অবশেষে ৯ মে সকালে রোগী মনোরঞ্জন মন্ডল কে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।হাসপাতালের ডাক্তার সৌরভ চৌধুরী রোগীকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করার সিধান্ত নেয়।দুপুরে মেডিক্যাল টিম বসে।আলোচনা করে তারপর অপারেশন করে প্লাসটিকের কেটের ভাঙা টুকরো টি বের করে।
বর্তমানে সুস্থ আছে রোগী মনোরঞ্জন মন্ডল।খুশি তার পরিবারের সদস্যরা।এই ভাবে গ্রামীন মহকুমা হাসপাতালে এমন সাফল্য যা এক বিরল দৃষ্টান্ত।দীর্ঘ বছর ধরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল কে মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল দাবি করে আসছে ক্যানিং মহকুমাবাসী।এই হাসপাতালে উত্তর ২৪পরগনার সন্দেশখালি,বারুইপুরের ভাঙর,কুলতলি, জয়নগর প্রমূখ এলাকা থেকে হাজার হাজার রোগী আসে এই হসপিটালে।
Very sad
উত্তরমুছুন