ঘুটিয়ারি শরিফে বেহাল অবস্থা ক্যানিং-১ ব্লক হাসপাতালের
নিজস্ব প্রতিনিধি |দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের ঘুটিয়ারি শরিফে ক্যানিং- ১ নং ব্লকের হাসপাতালে বিভিন্ন পরিষেবার বেহাল দশা এমনি অভিযোগ রুগি ও তার পরিবারে ও স্থানীয় মানুষজনের।স্থানীয় মানুষজন ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন এই ব্লক হাসপাতের প্রসূতি বিভাগে ইলেকট্রিক পাখা এক আধটা থাকলেও বেশী ভাগ সময় লোডশেডিং থাকার জন্য হাত পাখা ব্যাবহার করতে হয়।
পানীয়জল এর একটি কল থাকলেও সেই জল দিয়ে জামা,কাপড় ধোয়া হয়,পানীয়জল বাইরে থেকে আনতে হয়।তারা আরও অভিযোগ করে বলেন এই ব্লক হাসপাতালের মধ্য একটি পুকুর থাকলে তা ব্যবহার যোগ্য নয়।এমনকি হাসপাতালের চত্বরে ময়লা আবর্জন এমনকি ওয়ারেশের প্যাকেট, থার্মকলের থালা ও বহির্বিভাগের মধ্যে জল জমে থাকে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রুগি ও তার পরিবারে লোকজনদের।এছাড়া হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।ক্যানিং-১ ব্লক হাসপাতালে একটি যক্ষা নির্বারন কেন্দ্র থাকলেও তা তালা দিয়ে বন্ধ থাকে।সব কিছু জেনে শুনে নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে প্রশাসন ও বিভাগীয় দফতর।এদিকে এই ব্লক হাসপাতালে
প্রতিদিন প্রায় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ রুগি বহির্বিভাগ দেখাতে আসলে সেখানে একজন চিকিৎসক রুগি দেখেন।স্থানীয় মানুষজন ও রুগিরা দাবী করে বলেন হাসপাতালে আরো চিকিৎসক থাকলে আরো ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা পেত গরীব মানুষজন।বিশেষ করে তফসিলি উপজাতি, তফসিলি জাতি,সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গরীব মানুষগুলি।এ বিষয়ে কর্মরত এই ব্লক হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসক বলেন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারবো না।এমনকি এ বিষয়ে ক্যানিং-১ বি এম ও এইচ এ বিষয়ে কোন উত্তর দেয়নি।এ দিকে প্রতিনিয়ত এই হাসপাতালের চত্বরে অর্বাধ বিচারন করছে গরু, ছাগল সব কিছু জেনে শুনে নীরব বিভাগীয় দফতর।এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য পক্ষ থেকে জানান বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তবে খুব শীঘ্রই বিভিন্নউন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে।৩০ বেড হবে হাসপাতালে।বিভাগীয় দফতর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।