বঙ্গোপসাগর থেকে নিখোঁজ ৩ জন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার
বিশ্বজিৎ পাল|কাকদ্বীপ|বৃহস্পতিরবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ট্রলারের কেবিন থেকে ৩ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে পুলিশ দেহ ৩ টি কে ময়না তদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।সেখানে পরের দিন শুক্রবার মৃতের পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করণ করে। মৃত মৎস্যজীবীদের নাম প্রসেনজিৎ দাস (১৯) ঝন্টু বিশ্বাস (২৭)ও মদন দাস (৬৪)।উল্লেখ্য গত ১৩ জুন কাকদ্বীপ মহকুমা থেকে এফ বি কন্যামাতা ট্রলার টিতে ১৬ জন মৎস্যজীবী সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মাঝ সমুদ্রে পাড়ি দেয় মাছ ধরার জন্য।সেই সময়ে ঝড় বৃষ্টিতে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।আশপাশে মাছ ধরার কিছু নৌকা ৬ জন মৎস্যজীবী কে উদ্ধার করে।বাকী ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন।
এদিকে খবর পেয়ে কোষ্টাল পুলিশ এবং মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।কন্যামাতা ট্রলার টি কেঁদো দ্বীপের দক্ষিণে ডুবে যায়।সেই স্থানে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তুললে তার কেবিন ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৩ জন মৎস্যজীবীর দেহ।দেহ গুলি উদ্ধার করে রাতে আনা হয় কাকদ্বীপে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর,প্রসেনজিৎ দেহ সনাক্তকরণ করেন তার মা ও দাদা। প্রসেনজিতের দাদা খোকন দাস জানান ডুবে যাওয়া এফ বি কন্যামাতা ট্রলারে তার দু’ভাই গিয়েছিল। প্রসেনজিৎ ছোট ভাই। ট্রলারে যাওয়ার দিন মা তাকে একটি হাতের বালা দিয়েছিল। হাতের সেই বালা ও লাল রংয়ের গেঞ্জি দেখে প্রসেনজিৎ দেহ সনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ঝন্টু বিশ্বাসের গলার একটি মালা ও মদন দাসের দাঁত দেখে, তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা দেহ সনাক্তকরণ করেন।এদিখে ট্রলার টি ডুবে যাওয়ার পর ১০ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৩ জন মৎস্যজীবীর দেহউদ্ধার হয়।ফলে এখনও পর্যন্ত ৭ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছে।মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।অন্যদিকে বাকী নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা আশায় বুক পেতে আছে কখন ফিরবে তাদের পরিবারের লোকগুলি।সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের দক্ষিণে ডুবে যাওয়া এফ বি কন্যামাতা ট্রলার টি উদ্ধার করে আনা হয়েছে।ডুবে যাওয়া ট্রলারটির কেবিন থেকে ৩ জন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়।দেহ গুলি পুলিশ হাসপাতালে ময়না তদন্ত করতে পাঠালে সেখানে মৃতের পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করণ করে দেহ গুলি।এখনও ৭ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ আছে।তবে ট্রলারটি সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মাছ ধরতে যায়।যেহেতু ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে নদী খালে বিলে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।এ সময়টা মাছে ডিম পাড়ে।প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং মাছের প্রজন্ম রক্ষার্থে এই সময়টা মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।তিনি আরও বলেন যাতে মৃতের পরিবারের সদস্যরা যাতে সব রকম ভাবে সুযোগ সুবিধা পায় সে বিষয়ে বিভাগীয় দফতরে জানানো হয়েছে।পাশাপাশি নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে সব রকম ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেই বিষয়ে ও জানানো হয়েছে।