পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নের সাধনে ক্যানিং মহকুমা শাসক ভবনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে সেমিনার
ক্যানিং মহকুমা শাসক কার্যালয়ে সেমিনারের শেষে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরের সঙ্গে আলোচনা করছেন রাজ্যের এ ডি এম আই জি প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রভাত কুমার মিশ্র।
ক্যানিং|বুধবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে সাধনে দক্ষিণ ২৪পরগনার সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমা শাসক ভবনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে সেমিনার করলেন রাজ্যের এ ডি এম আই জি প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সহ রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।এদিনের সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডিএমআইজি প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রভাত কুমার মিশ্র,এডিএম শ্যামা পারভিন,জেলা সহ মৎস্য অধিকর্ত্তা ডাঃ তাপস পারিয়া,ক্যানিং মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিসটেড দেবাশীস মান্না, ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে প্রমুখ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার বিভিন্ন ব্লকে ডাব্লু আর আই ডি ডি এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তা আদমী প্রকল্পে ১৪০ কিমি সেচের জন্য নতুন খাল নির্মান ও সংস্কার হয়েছে।সেই খালের জল কে কি ভাবে কৃষকরা ব্যবহার করে উপকৃত হবে।পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী কে দিয়ে কিভাবে খালের দুপাড়ে ফল গাছ বসিয়ে স্বনির্ভর করে তোলা এবং খালের জলে মৎস্য চাষ করিয়ে মৎস্যজীবীদের আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন সাধন করা সহ একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ নিয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়।এই সমস্ত কাজ গুলি আগামী দিনে সম্পূর্ন হয়ে উঠলে জেলার বিভিন্ন ব্লকে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে এবং আর্থিক, সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন গঠবে।বিশেষ করে কৃষক, মৎস্যজীবি,স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এবং পিছিয়ে পড়া মানুষগুলির।এদিনের সেমিনারের শেষে রাজ্যের এ ডি এম আই জি প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রভাত কুমার মিশ্র বলেন ডাব্লু আর আই ডি ডি এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহয়তায় আদমী প্রকল্পে এই জেলায় ১৪০কিমি সেচের খালের সংস্কার হয়েছে।ফলে খালের জলে কৃষকরা কি ভাবে ব্যবহার করে উপকৃত হবে এবং এই খালের দুধারে ফল গাছ বসিয়ে ও মৎস্য চাষ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী অধীনে সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে সেমিনার হয়। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে আগামী দিনে এই সমস্ত এলাকায় কাজ গুলি সম্পূর্ন হলে বহু মহিলা স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং কৃষক,মৎস্যজীবি সহ হাজার হাজার পিছিয়ে পড়া মানুষগুলি উপকৃত হবে।এ ডি এম শ্যামা পারভিন বলেন জেলার জয়নগর,ক্যানিং-১ও২,গোসাবা, কুলতলি, বাসন্তী প্রমূখ ব্লক গুলিতে ১৪০ কিমি খাল সংস্কার হয়েছে।ফলে ক্ষুদ্র সেচের মাধ্যমে উককৃত হচ্ছে কৃষকরা।পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী দিয়ে খালের দুধারে ফল গাছ বসিয়ে এবং খালের জলে মাছ চাষ করিয়ে আরও বেশী করে স্বনির্ভর করে তোলা তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।এদিন জেলার পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে সেমিনার করা হয়। তিনি আরও বলেন রাজ্যের জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর এবং জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা সেমিনার উপস্থিত ছিলেন।