হারউড পয়েন্টে সাড়ে ৫ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির শঙ্খচূড় সাপ উদ্ধার
কাকদ্বীপ|শনিবার সকালে বিশাল আকৃতির প্রায় সাড়ে ৫ ফুট লম্বা একটি শঙ্খচূড় সাপ উদ্ধার করে বন দফতরের কর্মীরা।আর এই সাপের সাধারণত ১২ মিলিগ্রাম বিষেই মানুষের মৃত্যু হয়।ফলে কিং কোবরা সাপটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার ত্রিলকচন্দ্রপুর গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ত্রিলকচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা অসীম মণ্ডলের একটি প্লাসটিকের টিপলের ঘর ছিল।ঘরটির চারিদিকে লাইলোনের নেট জাল ঘেরা ছিল।এদিন সকালে অসীম মন্ডল এবং স্থানীয় বেশকিছু মানুষজন দেখতে পায় বিশাল আকৃতির লম্বা শঙ্খচূড় সাপ টিকে নেট জালে জড়িয়ে থাকতে দেখে তারা প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।এমনকি নেট জালে জড়িয়ে শঙ্খচূড় সাপ টি বিশাল ফোনা তুলে শব্দ করতে থাকে।ফলে তার ধারে কাছে যেতে ভয় পেয়ে যায় গ্রামবাসীরা।এদিকে পঞ্জিকা মতে শুরু হয়েছে ‘দশহারা’ আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে কোন কিছুর ক্ষতি না হয় শাস্ত্রীয় মতে।তাই গ্রামবাসীরা এবং বাড়ির মালিক অসীম মন্ডল ও প্রতিবেশী সমাজস্বরুপ সাউটিয়া সাপটিকে ধরে একটি বড় বালতির মধ্যে রেখে বন দফতর কে খবর দেয়।খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।সাপটি বর্তমানে সুস্থ আছ। বন দফতর জানান প্রায় সাড়ে ৫ ফুট লম্বা শঙ্খচূড় বা ‘কিং কোবরাটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই বিশাল আকৃতির কিং কোবরা সাধারনত এই অঞ্চলে দেখা যায় না।কথায় বলে সাপের রাজা শঙ্খচূড়।এই সাপের বিশাল ফনার নীচে থেকে ভি আকৃতির চিহ্ন শুরু হয়।এই সাপ ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় যা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ফনাধর বিষধর হিসাবে স্বীকৃতি।এরা ঘন জঙ্গলে বসবাস করে।তবে সুন্দরবনে খুব কম দেখা যায় এই সাপ। সাপটি বর্তমান সুস্থ আছে।