বাসন্তীতে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করল নাবালিকা ছাত্রী-

বাসন্তীতে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করল নাবালিকা ছাত্রী-



ক্যানিং।শুক্রবার রাতে চাইল্ড লাইনে ফোন করে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করল নাবালিকা ছাত্রী।আর তার এই সাহসিকতার জন্য বাহবা জানায় ক্যানিং মহকুমাবাসী।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪পরগনার সুন্দরবনের বাসন্তী থানার ৭নং কুমড়ো খালি গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৭নম্বর কুমড়োখালি গ্রামের বাসিন্দা নাবালিকা ছাত্রী সরবেড়িয়া হাই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পঠনপাঠন করে।নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তার বিয়ে ঠিক করেছিল পাশের গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে।নাবালিকা ছাত্রী পড়াশুনা করতে চায়,সে এখন বিয়ে করতে চায় না।


নাবালিকা ছাত্রী পরিবারের সদস্যদের বলে আমি বিয়ে করবো না আমি পড়াশুনা করতে চায়।কিন্তু নাবালিকার কথা কোন কর্নপাত না নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে।২২ জুন ছিল নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে লগ্ন।আর বিয়ের লগ্ন যখন এগিয়ে এসেছে তখন নাবালিকা ছাত্রী চাইল্ড লাইনের ফোন নম্বর জোগাড় করে নাবালিকা ছাত্রী ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে।সে চাইল্ড লাইন কে জানায় আমি নাবালিকা পড়াশুনা করতে চায়। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যরা আমায় জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে। আমি বিয়ে করতে চাই না।আপনারা আমাকে বাঁচান।আর এই খবর পেয়ে ক্যানিং চাইল্ড লাইন বাসন্তী থানায় সব কিছু জানায় এ বিষয়ে।এদিন চাইল্ড লাইনের সদস্যরা এবং বাসন্তী থানার পুলিশ বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে হাজির হয় নাবালিকা ছাত্রীর বাড়ীতে।সেখানে পুলিশ ও চাইন্ড লাইনের সদস্যরা হাজির হলে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা নাবালিকা কে অন্যত্র সরিয়ে দেয় এবং পরিবারের সদস্যরা অস্বীকার করে।পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা জেরা করে চাপ সৃষ্টি করলে নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে নাবালিকা ছাত্রী কে তাদের কাছে হাজির করেন।সে সময় নাবালিকা ছাত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পরে এবং বলেন স্যার আমি পড়াশুনা করতে চাই আমাকে বাঁচান আমাকে জোড়করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।পুলিশ নাবালিকা ছাত্রী কে উদ্ধার এবং চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় নাবালিকা ছাত্রীকে।বর্তমানে নাবালিকা ছাত্রী হোমে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে ক্যানিং চাইল্ড লাইনের সদস্য বান্টি মুখার্জী বলেন চাইল্ড লাইনে ১০৯৮ একটি ফোন আসে বাসন্তী ৭ নং কুমড়োখালী গ্রাম থেকে এক নাবালিকার সে বলে আমায় বাঁচান স্যার আমার পরিবার আমাকে বিয়ে দিতে চাইছি আমি পড়তে চাইছে।সেই মত বাসন্তী থানার ওসির সাথে যোগা যোগ করলে তিনি আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা সেই নাবালিকা ছাত্রী কে উদ্ধার করে হোমে পাঠাই আর আগামী দিনে কি করে পড়াশুনা চালাতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।আগামী ২৬ জুন নাবালিকা ছাত্রীকে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি বোর্ডে তোলা হবে।পুলিশ জানান খবর পেয়ে পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।নাবালিকা ছাত্রী কে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনে তুলে দেওয়া হয়েছে।নাবালিকা বর্তমানে একটি হোমে আছে।তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

--

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন