সুন্দরবনের নদীতে বাঘ পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার ১২ জন মৎস্যজীবী

সুন্দরবনের নদীতে বাঘ পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার ১২ জন মৎস্যজীবী 



 গোসাবা।বুধবার দুপুরে এস,টি,আর ও সুন্দরবন কোষ্টাল থানার যৌথ  অভিযান চালিয়ে ১২ জন মৎস্যজীবী কে গ্রেফতার করে কোষ্টাল থানার পুলিশ।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন কোষ্টাল থানার  ন্যাশানাল পার্ক ওয়েস্ট রেঞ্জ এর এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কিছু দিন আগে নদীতে জোয়ারের সময় একটি বাঘ সাঁতার কেটে যাচ্ছিল।সেই সময়ে ট্রলারের বেশ কিছু মৎস্যজীবী লাঠি দিয়ে বাঘকে পেটাতে যাচ্ছে।সেই ঘটনায় সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং সুন্দরবন কোষ্টাল থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে হলদি নদী থেকে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার সময় তাদের গ্রেফতার করে পুলিস।ধৃত মৎস্যজীবীরা  বলেন আমরা মারার জন্য বাঘটাকে মারিনি তাকে বাঁচানোর জন্য বাঘটা কে সরিয়ে দিচ্ছিলাম।আমরা বুঝতে পারিনি আমাদের অন্যায় হয়েছে।উল্লেখ্য  সোশ্যাল মিডিয়া তে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে একটি মাছের ট্রলার নিয়ে তাড়া করছে বাঘকে তার কিনারা বের করতে বন দফতর,জেলা পুলিশ এবং মৎস্যজীবীর ইউনিয়ন গুলির যৌথ অভিযানে নামে।তারা চিরুনী তল্লাশি চালিয়ে খোঁজ বের করে ট্রলারের নাম সহ বিস্তারিত ঘটনা গুলি।উল্লেখ্য গত ১৮ জুন দক্ষিণ ২৪পরগনার রায়দিঘী থানার রায়দিঘী জেটিঘাট থেকে এফ বি জবা ট্রলারটি ছাড়ে ১৩ জন মৎস্যজীবী কে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে।

সুন্দরবন কোষ্টাল থানায় ধৃত মৎস্যজীবীরা।

ট্রলারের মাঝি ছিলেন রায়দিঘীর বাসিন্দা দিলীপ সামন্ত এবং ট্রালের মালিক বিজয় দাস।ট্রলাটি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে রায়দিঘী ফিরছিল গত ২৫ জুন।আর ফেরার সময়ে বিদ্যা রেঞ্জর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে বিদ্যা নদীতে সাঁতার কেটে পাড়ের দিকে যাচ্ছিল।সেই সময়ে বিদ্যা নদীতে জোয়ারের জল বইছিল।আর বাঘটি কে নদীর জোয়ারের জলে সাঁতার কাটতে দেখে এফ বি জবা ট্রলারটি তাড়া করে বাঘকে।আর ট্রলারে থাকা এক মৎস্যজীবী সেই দৃশ্য গুলি মোবাইলে ভিডিও করে।আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে।ভিডিও টি বন দফতরের কাছে এলে তদন্ত শুরু করে তারা বিভাগীয় দফতরের সহ যোগিতায়।ভিডিও দেখা যায় নদীতে জোয়ারের সময় একটি বাঘ সাঁতার কেটে পার হচ্ছে।আর সেই সময় মৎস্যজীবীরা ট্রলার টি কে নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করছে মার মার শব্দ শোনা যাচ্ছে।আর বাঘটিকে নদীর জোয়ারের জলে নাকানিচোবানি খেতে দেখা যাচ্ছে ভিডিও টিতে।কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করা হয় বাঘটিকে।এক সময় বাঘটি পাড়ে উঠে জঙ্গলে দিকে চলে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রায়দিঘীর বাসিন্দা এফ বি জবা ট্রলারটি মালিক বিজয় দাস এই ঘটনাটি জানতে পেরে বিষয়টি কোন মতে সমর্থন করেনি।তিনি এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছে রায়দিঘী ফিসার ম্যান অনার ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে।ট্রলারে যে ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিল তারা সকলেই রায়দিঘীর বাসিন্দা।রায়দিঘী ফিসার ম্যান অনার ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন দাস বলেন একটি ট্রলার নিয়ে বাঘকে তাড়া করছে যে ভিডিও টি সোশ্যাল মিডিয়া তে ঘোরাঘুরি করছিল সেই ট্রলারটি চিহ্নিত করন হয়েছে।ট্রলারের মালিক এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা কে তিনি কোন মতে সমর্থন করেনি।এ বিষয়ে বন দফতর কে জানানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন এমন ধরনের ঘটনা সত্যি খুবই দুঃখজনক।এটা কোন মতে সমর্থন করা যায় না।আইনী যে পদক্ষেপ আছে তা নেওয়া হবে যারা এমন ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প জানান  বেশ কিছু দিন ধরে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া তে ঘোরাঘুরি করছি একটি ট্রলার নিয়ে বাঘকে তাড়া করছে নদীর জোয়ারের বাঘটি সাঁতার কেটে পাড়ে যাওয়ার সময়।ভিডিও টি দেখে তদন্ত নেমে ট্রলারটি চিহ্নিত করন করা হয়েছে।ট্রলারটি  বিষয়ে জানা গেছে। এই ঘটনায় এস টি আর ও কোষ্টাল পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে।অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ জন মৎস্যজীবী কে গ্রেফতার করে।এ বিষয়ে  যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।পুলিশ জানান একটি মাছে ট্রলারে মৎস্যজীবীরা নদীতে বাঘ কে তাড়া করছে।সেই ঘটনায় ১২ জন মৎস্যজীবী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে পূর্ণ তদন্ত শুরু হয়েছে।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন