রায়দিঘীতে পারিবারিক অশান্তি তে অ্যাসিড হামলা গ্রেফতার ২ জন,ধৃতদের জেল হেফাজত
রায়দিঘী।বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক বিবাদের জেরে অ্যাসিড হামলার অভিযোগে ধৃত মধুসূদন হালদার ও রুপা হালদার কে পুলিশ ডায়মন্ডহারবার এ সি জে এম কোর্টে তুললে বিচারক ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।উল্লেখ্য গত ২২ জুন দক্ষিণ ২৪পরগনার রায়দিঘী থানার আটেশ্বর রাধাকান্তপুর গ্রামে দুই ভাইয়ের পরিবারের পারিবারিক বিবাদের জেরে উত্তেজিত হয়ে বাথরুম পরিস্কার করা অ্যাসিড জানালা দেখা ছুঁড়ে মারলে জখম হয় নাবালিকা।জখম সাত বছরের নাবালিকার নাম প্রিয়া হালদার।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন হালদার ও তার ভাই মঙ্গল হালদার।মধুসূদন হালদারের স্ত্রী কল্পনা হালদার এবং মঙ্গল হালদারের স্ত্রী রুপা হালদার।আর কল্পনা হালদারের ছেলে রাজকুমার হালদারের নাবালিকা মেয়ে প্রিয়া হালদর।দুই ভাই মধুসূদন ও মঙ্গল একই জায়গায় পাশাপাশি থাকে।বেশ কিছু দিন ধরে দুই ভাই ও দুই বৌয়ের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল।এদিন দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ বেঁধে যায়।আর বিবাদের জেরে উত্তেজিত হয়ে মঙ্গল হালদারের স্ত্রী ঘরের বাথরুম পরিষ্কার করা অ্যাসিড জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মারলে সেই অ্যাসিডে জখম হয় কল্পনা হালদারের নাতনী প্রিয়া হালদার।বিবাদের জেরে চিৎকার শুনে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন।তারা জখম প্রিয়া কে রায়দিঘী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্ত্তি করে।সেখানে প্রিয়ার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতা চোখের হাসপাতালে স্থান্তরিত করে।সেখানে তার চিকিৎসা চলে।বর্তমানে প্রিয়া সুস্থ আছে।অ্যাসিড হামলায় নাবালিকা প্রিয়া হালদারে চোখে আঘাত হয়।গত ২৩ জুন রাতে এ বিষয়ে কল্পনা হালদার রায়দিঘী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে ৪ জুলাই রাতে রুপা হালদার ও কল্পনা হালদারের স্বামী মধুসূদন হালদার কে গ্রেফতার করে।পরের দিন ধৃত ২ জনকে পুলিশ ডায়মন্ডহারবার কোর্টে তোলে।পুলিশ জানান দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিবাদের জেরে অ্যাসিড হামলা করলে পরিবারের এক নাবালিকা জখম হয়।জখম নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে ২ জনকে গ্রেফতার করে।ধৃতদের কোর্টে তোলা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে পূর্ণ তদন্ত চলছে।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।এ দিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।