কাকদ্বীপ মহকুমা বজ্রপাতে মৃত্যু ৪ জন,জখম ৮ জন
গঙ্গাসাগরে মহিষামারি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু বরুন কবি(১২)।ছবি
নিজস্ব প্রতিনিধি|কাকদ্বীপ|রবিবার দুপুরে হঠাৎই ঝড় বৃষ্টিতে বজ্রপাত হলে মৃত্যু হয় ৪ জনের এবং জখম হয় ৮ জন।জখমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এদের মধ্যে ২ জন মৎস্যজীবী।মৃতদের নাম বাপী দাস (৩২),রবিশঙ্কর লায়া(৪৫),বরুন কবি(১২),বুদ্ধদেব কবি(১৩)।
গঙ্গাসাগরে মহিষামারি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু বুদ্ধদেব কবি(১৩)।
ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা গঙ্গাসাগরে মহিষামারি গ্রামে এবং পাথর প্রতিমার লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামে ও রায়দিঘীর হালদারঘেড়ি গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গঙ্গাসাগর কোষ্টাল থানার মহিষামারি গ্রামে একটি খেলার মাঠে দুপুরে বেশ কিছু বাচ্চারা ফুটবল খেল ছিল।
গঙ্গাসাগরে মহিষামারি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু বাপী দাস (৩২)।
হঠাৎই সেই সময় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।বাচ্চারা একটি প্লাসটিক ছাউনির ঘরে আশ্রয় নেই।সেই সময়ে নদী থেকে মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিল মৎস্যজীবী বাপী দাস।ঝড় বৃষ্টি এলে মৎস্যজীবী বাপী দাস সেও ওই প্লাসটিক ছাউনির মধ্যে ঢোকে।কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎই বজ্রপাত পড়লে ঝলসে যায় বাপী দাস,বরুন কবি,বুদ্ধদেব কবি।
পাথর প্রতিমা লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু রবিশঙ্কর লায়া(৪৫)।
স্থানীয় বেশ কিছু মানুষজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে জখমদের উদ্ধার করে রুদ্রনগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা বাপী দাস, বরুন কবি,বুদ্ধদেব কবি কে মৃত বলে ঘোষনা করে।বাকী ৬ জন চিকিৎসাধীন।এ ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।অন্যদিকে এই মহকুমা পাথর প্রতিমা থানার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবি রবিশঙ্কর লায়া সহ আরও ২ জন মৎস্যজীবী নৌকা করে ওয়াল্ড স্টপ নদীতে মাছ ধরছিল।হঠাৎই বজ্রপাত হলে মৃত্যু হয় মৎস্যজীবী রবিশঙ্কর লায়া।
রায়দিঘী হালদারঘেড়ি গ্রামে বজ্রপাতে জখম মৃৎশিল্পী দুই ভাই সুপ্রভাত পাত্র ও গনেশ পাত্র।
পুলিশ জানান কাকদ্বীপ মহকুমা বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ৪ জনের এবং জখম হয় ৬ জন।জখমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মৃতদের মধ্যে ২ মৎস্যজীবী।বাকী ২ জন নাবালক।তবে মৃতের মধ্যে ৩ জন গঙ্গাসাগরে মহিষামারি এবং ১ জন পাথর প্রতিমা লক্ষ্মী নারায়ণপুর।দেহ গুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।পাশাপাশি রায়দিঘী থানার হালদারঘেড়ি গ্রামে বজ্রপাতে জখম হয় ২ জন মৃৎশিল্পী।জখম মৃৎশিল্পী সুপ্রভাত পাত্র ও গনেশ পাত্র রায়দিঘী ও ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।