কাকদ্বীপে কালনাগিনী নদীর উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান সেতু

কাকদ্বীপে কালনাগিনী নদীর উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান সেতু


নিজস্ব প্রতিনিধি|কাকদ্বীপ|সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা হঠাই ভেঙে পড়ল শেষ হওয়ার আগেই কংক্রিটে সেতু। ঘটনাটি ঘটে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানার পশ্চিম স্টিমার ঘাট এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে  গত দু'বছর আগে থেকে কাকদ্বীপের কালনাগিনী নদীর উপর এই সেতু তৈরির কাজ চলছে।কাকদ্বীপ অঞ্চলের পশ্চিম স্টিমারঘাট ও পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার সংযোগ স্থল হিসেবে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল।


এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বিকোট শব্দ করে স্টিমারঘাট অঞ্চলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কংক্রিটের সেতুটি।এই সময় সেতুর পাশে বেশ কয়েকজন বাচ্চা খেলাধূলা  করছিল।তবে তারা সেতু থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকার কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।প্রায় ৫০ ফুটের মতন ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান সেতুটি।এ দিকে  স্থানীয় মানুষজন  অভিযোগ করে বলেন সেতুটির  ঢালাইয়ের সময় থেকেই নানান সমস্যা ছিল। এ বিষয়ে সেতুর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বারবার জানালেও, তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টু রাম পাখিরাএ বিষয়ে বলেন ব্রীজটা ভাঙবে কি।ব্রীজের একটা অংশ সবে কাজ চলছে বেশ কিছু দিন ধরে।ব্রীজের যেটুকু অংশে কাজ হয়েছে তার কোন বিষয় নেই।ব্রীজ তৈরি করতে প্রতিটি এসপানে ৩ টি করে গাডার থাকে।সেই গাডার গুলিকে কাসটিং করার পর কংক্রিটের যে শক্তি, চেক করার জন্য যে স্টেজ যেটাকে বলা হয় সাপোট।সেই সাপোটা দিতে হয় গাডার গুলিকে সেখানে দেওয়ার পর।দেখা গেছে যে গাডার গুলিকে সাপোটা খোলার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।তারপর খুলতে হবে।কিন্তু আমার দফতরে যে নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আছে তাদের সঙ্গে কথা না বলে এজেন্সির যে ইঞ্জিনিয়ার বা কারিগররা কাজ করছে তারা নিজেদের মতন মাদুব্বরি করে তারা এই সাপোটা খুলে নিয়েছে।খুলে নেওয়ার পর যেটা হয়েছে যে শক্তি তৈরি হওয়া উচিত ছিল সেটা দুর্বল থেকে গেছে।এটার নিয়ম হচ্ছে ১ টা গাডার পরে গেলে পর পর ৩ টে গাডার পরে যাবে।তিনি আরও বলেন দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা এসে গেছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।এ বিষয়ে তারা দেখে যা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে দফতর কে জানাবে।যদি দেখা যায় এজেন্সির গাফিলতি বা কোন জায়গায় গাফিলতি  হলে তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।তবে এটা বাস্তব যে হই হই করা হচ্ছে ব্রীজ ভেঙে পড়েছে সেটা সম্পূর্ণ গুজব, অবাস্তব।ব্রীজই তৈরি হল না তা ব্রীজ ভাঙ্গবে কি করে।ব্রীজ ভাঙ্গার কোন গল্প নেই।একটা অংশের কাজের এজেন্সি এবং তার নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারের কারিগরদের মাদুব্বরি জন্য এই সমস্যা হয়েছে। এ ব্যাপারে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং দফতরের সচিব তদারিক করছে।কোন কিছু গাফিলতি থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন