ক্যানিং মহকুমা ভবনে হাম ও রুবেলা টিকাকরণে সচেতন শিবির

ক্যানিং মহকুমা ভবনে হাম ও রুবেলা টিকাকরণে সচেতন শিবির



নিজস্ব প্রতিনিধি।ক্যানিং।শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪পরগনার ক্যানিং মহকুমা ভবনে জেলা স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগে এক হাম ও রুবেলা টিকাকরণ কর্মসূচী বিষয়ে এক সচেতন শিবিরের আয়োজন হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোসাবা কেন্দ্রের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর,ক্যানিং মহকুমা শাসক অদিতি চৌধারী, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিপ মেডিক্যাল অফিসার ইন্দ্রনীল সরকার, সুপার অর্ঘ্য চৌধুরী, ক্যানিং-১ বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে, ক্যানিং ইমাম সমিতির সম্পাদক সাইফুদ্দিন সাঁফুই, বাসন্তী বিএমওএইচ রামকৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ।এদিনের অনুষ্ঠানে চিপ মেডিক্যাল অফিসার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে হাম ও রুবেলা টিকাকরণের কর্মসূচী চালু হচ্ছে।হাম এক ভয়ানক মারন রোগ এবং শিশু মৃত্যু বা শিশুদের পঙ্গু হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন।হাম অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ।হাঁচি কাশির মাধ্যমে এটি রোগাক্রান্ত মানুষের থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে যায়।এমনকি হাম হলে শিশুর নিউমোনিয়া ডায়রিয়া বা মস্তিষ্কের সংক্রামনের মত জটিলতায় মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।তিনি আরও বলেন যদি কোনও মা গর্ভাবস্হার প্রথমদিকে রুবেলা আক্রান্ত হলে কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম হতে পারে।এতে গর্ভস্থ শিশুর বা নবজাতকের গুরুতর ক্ষতি,এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।যে মায়েরা রুবেলা রোগের থেকে অসুরক্ষিত,যাদের গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে রুবেলা সংক্রমণ হয়,তাদের বাচ্চাদের দীর্ঘমেয়াদি জন্মগত ক্রটির সম্ভাবনা থাকে।গোসাবা কেন্দ্রের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন হাম ও রুবেলা টিকাকরণ কর্মসূচী বিষয়ে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।এই টিকার কর্মসূটী লক্ষ্য ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কমবয়সী সমস্ত শিশুরা।হাম ও রুবেলা  রোগের থেকে জনসমষ্টিকে নিরাপদে রাখাই এই টিকাকরণ কর্মসূচীর লক্ষ্য।তিনি আরও বলেন দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৯,২০০ শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।হাম ও রুবেলা দুটিই ভাইরাস বায়ূজনিত অত্যন্ত সংক্রামক রোগ।তাই এই টিকা কর্মসূচীতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন