সুন্দরবনের কেঁদো দ্বীপে দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম ১৩ জন মৎস্যজীবী

সুন্দরবনের কেঁদো দ্বীপে দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম ১৩ জন মৎস্যজীবী 

দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম মৎস্যজীবীরা চিকিৎসাধীন কাকদ্বীপ হাসপাতালে।


কাকদ্বীপ|শুক্রবার রাতে ৩০ থেকে ৪০ জনের দুষ্কৃতী দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মৎস্যজীবীদের ট্রলারের উপর হামলা চালালে জখম হয় ১৩ জন মৎস্যজীবী।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দরবন কোষ্টাল থানার কেঁদো দ্বীপ এলাকায়।স্থানীয় ও মৎস্যজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর কাকদ্বীপের মাইতিরচক এলাকা থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবী এফ বি নিউ বর্গভিমা ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয় মাছ ধরার উদ্দেশ্য।মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে থাকে বেশ কয়েকদিন ধরে।আর মাছ ধরতে ধরতে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে চলে আসে কেঁদো দ্বীপের নীচে আর্ন্তজাতিক এলাকায়।

গত ২৮ ডিসেম্বর একটি ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের দুষ্কৃতী দল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে এফ বি নিউ বর্গভিমা ট্রলারে হামলা করে।মৎস্যজীবীরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে মৎস্যজীবীদের।এরপর দুষ্কৃতীরা মাছ এবং মাছ ধরার সরঞ্জাম  লুঠপাট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।এফ বি নিউ বর্গভিমা ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে জোয়ারের টানে চলে থাকে।সেই সময় বেশ কয়েকটি মাছের ট্রলার মাছ ধরার সময় দেখতে পায় একটি ট্রলার ভাসছে।তারা কাছে গিয়ে ট্রলারটি ও জখম মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে পরের দিন শনিবার কাকদ্বীপ ঘাটে নিয়ে আসে।সেখান থেকে জখমদের নিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করে।এদের মধ্যে মৎস্যজীবী সুজয় দাস, নেকুর দাস ও সঞ্জীয় মাঝির অবস্থা আশঙ্কাজনক।তারা চিকিৎসাধীন।তবে বাকী ১০ জন জখম মৎস্যজীবীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয় চিকিৎসকরা।জখম মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করে বলেন একটি ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী হামলা করে সব কিছু লুঠপাট করে এবং বাঁধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর করে চম্পট দেয়।দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ধারালো অস্ত্র ছিল।মনে হয় দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশের জলদস্যু।এই কয়েক দিন ধরে যে মাছ ধরা হয়ে ছিল সেই সব মাছ এবং মাছ ধরার সব সরঞ্জাম নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।ফলে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়।সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন কেঁদো দ্বীপের নীচে আর্ন্তজাতিক জল সীমানায় এফ বি নিউ বর্গভিমা ট্রলারের মৎস্যজীবিরা মাছ ধরার সময় হঠাৎই দুষ্কৃতীরা হামলা চালালে জখম হয় ১৩ জন মৎস্যজীবি।এদের মধ্যে ৩ জন মৎস্যজীবি কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয় চিকিৎসকরা।দুষ্কৃতীরা সব কিছু লুঠপাট করে নিয়ে চলে যায়।বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন কে জানানো হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য।পুলিশ জানান গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুষ্কৃতীরা হামলা করলে বেশ কিছু মৎস্যজীবি জখম হয় এব দুষ্কৃতীরা সব কিছু লুঠপাট করে চম্পট দেয় এমন ধরনের খবর পাওয়া গেছে।বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন