পাথর প্রতিমা ফুটন্ত খেজুরের গুড়ের কড়াতে পড়ে মৃত্যু এক ছাত্রের
পাথর প্রতিমা|রবিবার কাঠের আগুনে চুল্লিতে খেজুর গরম গুড়ের ফুটন্ত কড়াতে পড়ে মৃত্যু হয় এক প্রতিবন্ধী ছাত্রের।মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের নাম রবিশঙ্কর বাগ (১১)।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিন ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জেরবাজারে রাজরাজেশ্বরপুরে এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রবিশঙ্কর বাগ জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী, কালা এবং বোবা ছিল। গত ছয় মাস আগে পর্যন্ত স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা কর ছিল।কিন্তু কয়েক মাস আগে বরদাপুর প্রতিবন্ধী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগের বাবা সহদেব বাগ এবং মা অনিমা বাগ।তবে অভাব অনটনের জন্য দিল্লিতে লোকের বাড়িতে পরিচারক পরিচারিকার কাজ করছিল প্রতিবন্ধী ছাত্রের বাবা মা।স্কুল থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ তার নিজের বাড়িতে দাদু এবং দিদিমার কাছে আসে।বেশ কিছু দিন ধরে খেলাধূলায় মেতে ছিলেন গ্রামের কচিকাঁচাদের সঙ্গে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ।এদিন সকালে বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেজুর গাছে রস আগুনে সালতি(কড়া) করে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছিল।
সেই সময় খেলতে খেলতে খেলার ছলে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ ফুটন্ত গুড়ের কড়াতে পড়ে যায়। সামনভাবে কড়াতে পড়লেও মুখ বাদে গলার নিচের অংশ ডুবে যায়। কেবলমাত্র মুখটা উপরের দিকে তুলে রাখে সে।তখন উনান জ্বাল দিচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা।তিনি তুলতে না পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকার বেশ কিছু মানুষজন চিৎকার শুনে ছুটে আসে।তারা প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগকে উদ্ধার করে পুকুরের জলের মধ্যে রেখে গায়ে জড়ানো গুড় গুলোকে ধোয়ার চেষ্টা করে এবং কোলগেট মাজন পোড়া অংশে লাগিয়ে দেয়।এরপর তাকে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।চিকিৎসকরা কয়েক ঘন্টা পর প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এদিকে মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের মা-বাবাকে দিল্লিতে খবর দেওয়া হয়।এই ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা।
পাথর প্রতিমা|রবিবার কাঠের আগুনে চুল্লিতে খেজুর গরম গুড়ের ফুটন্ত কড়াতে পড়ে মৃত্যু হয় এক প্রতিবন্ধী ছাত্রের।মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের নাম রবিশঙ্কর বাগ (১১)।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিন ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জেরবাজারে রাজরাজেশ্বরপুরে এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রবিশঙ্কর বাগ জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী, কালা এবং বোবা ছিল। গত ছয় মাস আগে পর্যন্ত স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা কর ছিল।কিন্তু কয়েক মাস আগে বরদাপুর প্রতিবন্ধী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগের বাবা সহদেব বাগ এবং মা অনিমা বাগ।তবে অভাব অনটনের জন্য দিল্লিতে লোকের বাড়িতে পরিচারক পরিচারিকার কাজ করছিল প্রতিবন্ধী ছাত্রের বাবা মা।স্কুল থেকে গত ২৫ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ তার নিজের বাড়িতে দাদু এবং দিদিমার কাছে আসে।বেশ কিছু দিন ধরে খেলাধূলায় মেতে ছিলেন গ্রামের কচিকাঁচাদের সঙ্গে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ।এদিন সকালে বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেজুর গাছে রস আগুনে সালতি(কড়া) করে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছিল।
সেই সময় খেলতে খেলতে খেলার ছলে প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগ ফুটন্ত গুড়ের কড়াতে পড়ে যায়। সামনভাবে কড়াতে পড়লেও মুখ বাদে গলার নিচের অংশ ডুবে যায়। কেবলমাত্র মুখটা উপরের দিকে তুলে রাখে সে।তখন উনান জ্বাল দিচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা।তিনি তুলতে না পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকার বেশ কিছু মানুষজন চিৎকার শুনে ছুটে আসে।তারা প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগকে উদ্ধার করে পুকুরের জলের মধ্যে রেখে গায়ে জড়ানো গুড় গুলোকে ধোয়ার চেষ্টা করে এবং কোলগেট মাজন পোড়া অংশে লাগিয়ে দেয়।এরপর তাকে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।চিকিৎসকরা কয়েক ঘন্টা পর প্রতিবন্ধী ছাত্র রবিশঙ্কর বাগকে মৃত বলে ঘোষণা করে।এদিকে মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের মা-বাবাকে দিল্লিতে খবর দেওয়া হয়।এই ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মৃত প্রতিবন্ধী ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা।