শুরু হল গঙ্গাসাগর মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী
কাকলী পাল|গঙ্গাসাগর|কুম্ভমেলার পর ভারতের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় মেলা গঙ্গাসাগর।সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী মকর সংক্রান্তির টানেই কপিলমুনির সাগরপারে ভিড় জমান।সোমবার দক্ষিন ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক।অপরদিকে গঙ্গাসাগর মেলার আলোকসজ্জার শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা,সাগর কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা,জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা সেখ,পিএইচই দফতের আধিকারিক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার গঙ্গাসাগর মেলার সব রকমভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজেই কিছুদিন আগে গঙ্গাসাগরে আসেন।
সব কিছু মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখন।মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত।পূর্ণ স্নান ১৪ জানুয়ারি।ইতিমধ্যে তীর্থযাত্রীরা মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেছে।আমি আশাবাদী বিগত দিনের ভিড়ের রেকর্ড এবার ভেঙে দেবে।এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী বলেন গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।নররুপে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর।তৈরি হচ্ছে মহামিলনের শেষ্ঠ তীর্থস্থান গঙ্গাসাগর।এদিকে গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে রাখা হচ্ছে।পূণ্যার্থীরা যাতে কোন রকমভাবে অসুবিধার মধ্যে না পরে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে মেগা কট্রোল রুম।আর এই কট্রোল আছে ৮০০ টি সিসিটিভি,৫০ টি এলইডি স্কিন।আর এই কট্রোল রুমে ১২০ জন অফিসার ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করবে।এমনকি জলপথে জোয়ার ভাটা সময় কত পূণ্যার্থী আসছে তার সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছে এই কট্রোল রুমের মাধ্যমে।এবার মেলায় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।২০ টি বেলুন ক্যামেরা,২০ টি ড্রোন নজর রাখছে মেলা চত্বরে।এমনকি পূণ্যার্থীদের সব কিছু বিষয়ে জানানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ৬০ টি এলইডি জয়েন্ট স্কিন ডিসপ্লের মাধ্যমে কচুবেড়িয়া,চেমাগুড়ি,নামখানায়।এর ফলে জানতে পারবে ভিড়ের মধ্যে কেউ হারিয়ে গেলে,জোয়ার ভাটা,ভেসেল চলাচল।এবার গঙ্গাসাগর মেলায় বাঁশের ব্যারিকেডের বদলে লোহার ব্যারিকেড করা হয়েছে ২০ কিমি।মেলা চত্বরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ৪০ টি ইবার ও ৬০ টি হ্যান্ড রিক্সা,৪০০ টি টয়লেট স্বচ্ছতা রাখার জন্য।মেলার প্রথমদিন থেকেই শুরু হল ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা।এদিকে জলপথে পূণ্যার্থীদের জন্য চালু হল ৩০ টি ভেসেল,৫ টি বার্জ ও পর্যাপ্ত লঞ্চ।জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা সেখ বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সব রকমভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এবার গঙ্গাসাগর মেলার বাজেট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।যা গত বছর ছিল ৭৫ কোটি টাকা।মেলার প্রথম দিন থেকেই বিমা চালু হল।মেলা চলাকালীন কোন দুর্ঘটনা হলে ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন ১৪ জানুয়ারি পূণ্যস্নান।ইতিমধ্যে পূণ্যার্থীদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে।সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলা ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত পূণ্য কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম।পৌষ বা মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে শুধুমাত্র ভারতবাসী নয়,সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভ্রমণার্থীরা আসেন সাগর মেলায়।যা তৈরি হয় মহামিলনের শ্রেষ্ঠস্থান।
কাকলী পাল|গঙ্গাসাগর|কুম্ভমেলার পর ভারতের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় মেলা গঙ্গাসাগর।সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী মকর সংক্রান্তির টানেই কপিলমুনির সাগরপারে ভিড় জমান।সোমবার দক্ষিন ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক।অপরদিকে গঙ্গাসাগর মেলার আলোকসজ্জার শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা,সাগর কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা,জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা সেখ,পিএইচই দফতের আধিকারিক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার গঙ্গাসাগর মেলার সব রকমভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজেই কিছুদিন আগে গঙ্গাসাগরে আসেন।
গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।পাশে মন্ত্রী গিয়াস উদ্দিন মোল্লা,বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা,জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা সেখ প্রমূখ।