সুন্দরবন TV
সজনেখালিতে জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে বন দফতরের লভ্যাংশ তুলে দেওয়া হল যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে
নিজস্ব প্রতিনিধি | সজনেখালি|বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সজনেখালি টাইগার রির্সাভ ভবনে রাজ্য বন দফতর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে সুন্দরবনে পযটকদের আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ তুলে দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৬ টি ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৪ টি জে এফ এম সিদের হাতে।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে, প্রধান মুখ্য বনপাল বন্যপ্রান রবিকান্ত সিনহা, হিঙ্গলগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক প্রমূখ।অনুষ্ঠানে ২৬টি যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে ১৮,৭১,২৮৮ টাকা এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৪ টি কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় ১,৪৪,০৮৭ টাকার চেক।
পাশাপাশি যৌথ বন পরিচালন কমিটি গুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় হাঁস, মুরগী ও মাছের চারা।সুন্দরবনের জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ।আর আর্থ সামাজিক অনুন্নয়নের এই প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যে জীবন যাপন করতে হয় সুন্দরবনের কয়েক লক্ষ্য মানুষকে। আর সেই কারণে জীবিকার টানেই বারে বারে জঙ্গলের কাঠ, মধু ও মাছ, কাঁকড়া সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনের গভীর অরন্যে যেতে বাধ্য হন। আর সেখানে গিয়েই মাঝে মধ্যেই বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তাদের। সুন্দরবনবাসীদের সেই জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে বহু বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর। তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে বন দফতরের তরফ থেকে। পাশাপাশি যৌথ বন পরিচালন কমিটি গঠন করে জঙ্গল ও বন্যপ্রান রক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে সুন্দরবনের বহু মানুষকে। রাজ্য বন দফতর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পযটকদের লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ অর্থ তুলে দেওয়া হল ৪০টি কমিটির হাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সফরে এসে ঘোষনা করে ছিলেন পযটকদের লভ্যাংশের ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ দেওয়া।গত বছর রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সুন্দরবন সফরে এসে বলে গিয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যৌথ বন পরিচালন কমিটি গুলিকে ৪০ শতাংশ দেওয়া হবে।তাই এদিনের অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের পযটকদের থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ২৫ শতাংশ এই যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হলেও এবারই প্রথম তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়।২০১৬-১৭ এবং ২০১৮-১৯ সব মিলিয়ে এদিন ৪০ টি কমিটির হাতে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়।এদিন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে বলেন, আমরা জঙ্গলের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছি। বিভিন্ন ভাবে এই সুন্দরবন এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নের মধ্যে দিয়েই এটা সম্ভব। তাই আমরা প্রতিবছরই সুন্দরবনের ট্যুরিজম থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের কিছুটা অংশ যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দিই।এবছর সেটা ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জিনিষপত্র দিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করে জঙ্গল নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর। নিলাঞ্জন মল্লিক বলেন সুন্দরবনে নদীর চড়ে বহু স্থানে নব নির্মিত ম্যানগ্রোভ জঙ্গল গড়ে উঠেছে।বিশেষ করে ক্যানিং মাতলা নদীর চড়ে।তাই এই সমস্ত নব নির্মিত ম্যানগ্রোভ জঙ্গল গুলি সংরক্ষণ করার জন্য বিভাগীয় দফতরে আলোচনা করা হচ্ছে।এবার ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হল পযটকদের আয়ের লভ্যাংশ থেকে।ফলে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে সুন্দরবনবাসীর।এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন।
সজনেখালিতে জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে বন দফতরের লভ্যাংশ তুলে দেওয়া হল যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে
নিজস্ব প্রতিনিধি | সজনেখালি|বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সজনেখালি টাইগার রির্সাভ ভবনে রাজ্য বন দফতর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে সুন্দরবনে পযটকদের আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ তুলে দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৬ টি ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৪ টি জে এফ এম সিদের হাতে।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে, প্রধান মুখ্য বনপাল বন্যপ্রান রবিকান্ত সিনহা, হিঙ্গলগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক প্রমূখ।অনুষ্ঠানে ২৬টি যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে ১৮,৭১,২৮৮ টাকা এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১৪ টি কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় ১,৪৪,০৮৭ টাকার চেক।
পাশাপাশি যৌথ বন পরিচালন কমিটি গুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় হাঁস, মুরগী ও মাছের চারা।সুন্দরবনের জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ।আর আর্থ সামাজিক অনুন্নয়নের এই প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যে জীবন যাপন করতে হয় সুন্দরবনের কয়েক লক্ষ্য মানুষকে। আর সেই কারণে জীবিকার টানেই বারে বারে জঙ্গলের কাঠ, মধু ও মাছ, কাঁকড়া সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনের গভীর অরন্যে যেতে বাধ্য হন। আর সেখানে গিয়েই মাঝে মধ্যেই বিপদের সম্মুখীন হতে হয় তাদের। সুন্দরবনবাসীদের সেই জঙ্গল নির্ভরতা কমাতে বহু বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর। তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও করা হয়েছে বন দফতরের তরফ থেকে। পাশাপাশি যৌথ বন পরিচালন কমিটি গঠন করে জঙ্গল ও বন্যপ্রান রক্ষার কাজে লাগানো হচ্ছে সুন্দরবনের বহু মানুষকে। রাজ্য বন দফতর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফ থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পযটকদের লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ অর্থ তুলে দেওয়া হল ৪০টি কমিটির হাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সফরে এসে ঘোষনা করে ছিলেন পযটকদের লভ্যাংশের ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ দেওয়া।গত বছর রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সুন্দরবন সফরে এসে বলে গিয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যৌথ বন পরিচালন কমিটি গুলিকে ৪০ শতাংশ দেওয়া হবে।তাই এদিনের অনুষ্ঠানে সুন্দরবনের পযটকদের থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ২৫ শতাংশ এই যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হলেও এবারই প্রথম তা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়।২০১৬-১৭ এবং ২০১৮-১৯ সব মিলিয়ে এদিন ৪০ টি কমিটির হাতে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়।এদিন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে বলেন, আমরা জঙ্গলের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছি। বিভিন্ন ভাবে এই সুন্দরবন এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নের মধ্যে দিয়েই এটা সম্ভব। তাই আমরা প্রতিবছরই সুন্দরবনের ট্যুরিজম থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের কিছুটা অংশ যৌথ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দিই।এবছর সেটা ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জিনিষপত্র দিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করে জঙ্গল নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর। নিলাঞ্জন মল্লিক বলেন সুন্দরবনে নদীর চড়ে বহু স্থানে নব নির্মিত ম্যানগ্রোভ জঙ্গল গড়ে উঠেছে।বিশেষ করে ক্যানিং মাতলা নদীর চড়ে।তাই এই সমস্ত নব নির্মিত ম্যানগ্রোভ জঙ্গল গুলি সংরক্ষণ করার জন্য বিভাগীয় দফতরে আলোচনা করা হচ্ছে।এবার ২৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হল পযটকদের আয়ের লভ্যাংশ থেকে।ফলে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে সুন্দরবনবাসীর।এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন।