সুন্দরবন TV
সাগরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি | সাগর|শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।এবারে এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী শরৎ হালদার,বিজেপির প্রার্থী শ্যামাপদ হালদার,কংগ্রেসের প্রার্থী কৃত্তিবাস সরদার।তবে ভোট প্রচারে অনেক এগিয়ে দুই বারের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।এবারে তিনি জয়ী হলে হ্যাট্রিক করবেন।
তবে তা জানা যাবে আগামী ২৩ মে।এদিন সকালে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া কপিলমুনির মন্দিরে পূজা দেয়। মন্দিরের পুরোহিত প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া কে কপালে তিলক দিয়ে গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন। ৭৬ এর ঊর্ধ্বে প্রবীণ দু বারের সাংসদ এবারেও যে ভাবে তিনি মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছেন তাতে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি।প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া বলেন এই কেন্দ্রে উন্নয়ন দেখে মানুষ ভোট দেবে। দুবার এর সাংসদ থাকাকালীন যে ভাবে এই কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় এবং সাগরে উন্নয়ন হয়েছে তা এলাকার মানুষজন চোখে দেখতে পারছে।এদিন তিনি গঙ্গাসাগর একটি দলীয়। কর্মীসভা করেন।বিকালে তিনি ভারতসেবাশ্রম মন্দিরে যান। সেখানে মহারাজ সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।এরপর একাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সাথে কথা বলেন বিভিন্ন বিষয়ে।বিকালে সাগরের রুদ্র নগরে একটি সভা করেন তিনি। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।তিনি সিপিএমের প্রার্থীকে ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত করেন।২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।তিনি সিপিএমের প্রার্থী রিঙ্কু নস্করকে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৮৭ ভোটে হারিয়ে দেয়।মথুরাপুর লোকসভা আসনে এক সময় টানা সিপিএমের দখলে ছিল।২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রের দখল গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে।১৯৮৪ সালে ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর প্রবল রাজীব গান্ধীর হাওয়ায় তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই মথুরাপুর আসনে সেবার জয়ী হন কংগ্রেসের প্রার্থী মনোরঞ্জন হালদার।আবার ১৯৮৯ সালে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক জয়ী হন কংগ্রেসের প্রার্থী মনোরঞ্জন হালদারকে হারিয়ে।১৯৯৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হন সিপিএমের প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।তিনি তৃণমূলের প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র নস্করকে ৫১ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত করে ছিলেন।তবে ২০০৪ সালে রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক তৃণমূলে যোগদান করে সিপিএম ছেড়ে।সেই বছর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।সিপিএমের প্রার্থী বাসুদেব বর্মনের কাছে ৮২ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।মথুরাপুরে জন সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ।এর মধ্যে প্রায় ৬ শতাংশ মানুষের সংখ্যা শহরে।বাকী ৯৪ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর(এসসি) কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬,৪৫,২০৩ জন।পোলিং স্টেশন ১৮১০ টি।পাথর প্রতিমা,কাকদ্বীপ, সাগর,কুলপী,রায়দিঘী,মন্দিরবাজার,মগরাহাট পশ্চিম এই বিধানসভা গুলি নিয়ে এই কেন্দ্রটি গঠিত।এদিকে ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রচার ততই তুঙ্গে।বিরোধী দলগুলি ভোট প্রচারে অনেকটা পিছিয়ে।
সাগরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি | সাগর|শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।এবারে এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী শরৎ হালদার,বিজেপির প্রার্থী শ্যামাপদ হালদার,কংগ্রেসের প্রার্থী কৃত্তিবাস সরদার।তবে ভোট প্রচারে অনেক এগিয়ে দুই বারের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।এবারে তিনি জয়ী হলে হ্যাট্রিক করবেন।
তবে তা জানা যাবে আগামী ২৩ মে।এদিন সকালে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া কপিলমুনির মন্দিরে পূজা দেয়। মন্দিরের পুরোহিত প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া কে কপালে তিলক দিয়ে গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন। ৭৬ এর ঊর্ধ্বে প্রবীণ দু বারের সাংসদ এবারেও যে ভাবে তিনি মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছেন তাতে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি।প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া বলেন এই কেন্দ্রে উন্নয়ন দেখে মানুষ ভোট দেবে। দুবার এর সাংসদ থাকাকালীন যে ভাবে এই কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় এবং সাগরে উন্নয়ন হয়েছে তা এলাকার মানুষজন চোখে দেখতে পারছে।এদিন তিনি গঙ্গাসাগর একটি দলীয়। কর্মীসভা করেন।বিকালে তিনি ভারতসেবাশ্রম মন্দিরে যান। সেখানে মহারাজ সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।এরপর একাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সাথে কথা বলেন বিভিন্ন বিষয়ে।বিকালে সাগরের রুদ্র নগরে একটি সভা করেন তিনি। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।তিনি সিপিএমের প্রার্থীকে ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত করেন।২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া।তিনি সিপিএমের প্রার্থী রিঙ্কু নস্করকে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৮৭ ভোটে হারিয়ে দেয়।মথুরাপুর লোকসভা আসনে এক সময় টানা সিপিএমের দখলে ছিল।২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রের দখল গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে।১৯৮৪ সালে ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর প্রবল রাজীব গান্ধীর হাওয়ায় তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই মথুরাপুর আসনে সেবার জয়ী হন কংগ্রেসের প্রার্থী মনোরঞ্জন হালদার।আবার ১৯৮৯ সালে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক জয়ী হন কংগ্রেসের প্রার্থী মনোরঞ্জন হালদারকে হারিয়ে।১৯৯৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হন সিপিএমের প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।তিনি তৃণমূলের প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র নস্করকে ৫১ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত করে ছিলেন।তবে ২০০৪ সালে রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক তৃণমূলে যোগদান করে সিপিএম ছেড়ে।সেই বছর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।সিপিএমের প্রার্থী বাসুদেব বর্মনের কাছে ৮২ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক।মথুরাপুরে জন সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ।এর মধ্যে প্রায় ৬ শতাংশ মানুষের সংখ্যা শহরে।বাকী ৯৪ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর(এসসি) কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬,৪৫,২০৩ জন।পোলিং স্টেশন ১৮১০ টি।পাথর প্রতিমা,কাকদ্বীপ, সাগর,কুলপী,রায়দিঘী,মন্দিরবাজার,মগরাহাট পশ্চিম এই বিধানসভা গুলি নিয়ে এই কেন্দ্রটি গঠিত।এদিকে ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রচার ততই তুঙ্গে।বিরোধী দলগুলি ভোট প্রচারে অনেকটা পিছিয়ে।