প্রায় ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাবে বকখালিতে

সুন্দরবন TV

প্রায় ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাবে বকখালিতে


নিজস্ব প্রতিনিধি |  নামখানা|বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের​ নবান্ন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা নারায়নপুর সংযোগস্থল হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে।ফলে দীর্ প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলে গেল হাতানিয়া দোয়ানিয়ার সেতুর দরজা।এদিন নামখানায় এই সেতুুর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা,সুন্দরবন ডেভলপমেন্ট বোর্ড অথরিটি চেয়ারম্যান তথা সাগর কেন্দ্রের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, ভাইস,পাথর প্রতিমা কেন্দ্রের বিধায়ক সমীর কুমার জানা, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার,মথুরাপুর কেন্দ্রের সাংসদ সি এম জাটুয়া প্রমূখ।এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর শুভ উদ্ধোধন করলেন নবান্ন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে।ফলে সুন্দরবনবাসীর স্বপ্ন পূরণ হল আজ।

এদিকে হাতানিয়া দোয়ানিয়া সেতুটি সাড়ে ৩ কিলোমিটার লম্বাএবং চওড়া ২৮ ফুট।তবে সেতুর দুধারে ৪ ফুট করে ফুট ব্রীজ আছে।প্রথমে ছোট গাড়ি চলবে।কেননা এখনএ পর্যন্ত ব্রীজের কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।সেতুটি চালু হওয়ার ফলে প্রায় ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারবে গাড়ি করে বকখালি ফ্রেজারগঞ্জে।আগে এই নদী পার হয়ে বকখালি যেতে সময় লাগতো প্রায় ২ ঘন্টা। হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর তীরে যেখান থেকে ভেসেলে নদী পেরিয়ে তবে যাওয়া যেত সমুদ্র সৈকত বকখালি তে।ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হত পযটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনের।২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হল দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে তৈরি হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর এই সেতুটি।২০১১সালে ২১ মে মা মাটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেয় মততা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন জুড়ে উন্নয়নের কর্মযঞ্জ শুরু হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন ভারতের রেল মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকখালি সফরে এসে ছিলেন।তখন তিনি বলে ছিলেন হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর সেতু করে দেবো।২০১৪ সালে ফ্রেব্রুয়ারি মাসে এই সেতুর কাজ শুরু হয়।২০১৫ সালে সেতুর কাজ দ্রুতগতি হতে থাকে।সেতুটি চালু হওয়ার ফলে উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলো।খুব অল্প সময়ে মধ্যে কলকাতা থেকে বকখালি চটজোলদি চলে আসতে পারবে।ফলে সুন্দরবন পযটন শিল্পে জোয়ার আসবে এবং বহু মানুষের কর্মস্থান গড়ে উঠবে।সেতুটি উন্নতমানের আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী করা হয়েছে।অনেকটা উঁচু, যাতে জাহাজ চলাচল করতে কোন অসুবিধা না হয়।ফলে নামখানা এসে আর নৌকা উঠতে হবে না।পযটকরা গাড়ি চড়ে​ সরাসরি চলে যেতে পারবে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা বকখালি ফ্রেজারগঞ্জ হেনরি আইল্যান্ডে।দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হল সুন্দরবনবাসীর।তাই খুশির উৎসবে মেতে উঠেছে সর্ব ধর্মের
মানুষ।যা মহামিলনের সাগরের তীরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন