চৈত্রের প্রখর রৌদ্রে ক্যানিং ষ্টেশনে জলসত্র

সুন্দরবন TV

চৈত্রের প্রখর রৌদ্রে ক্যানিং ষ্টেশনে জলসত্র

 নিজস্ব প্রতিনিধি |  ক্যানিং |বেশ কয়েকদিন কালবৈশাখী ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টিপাতের জন্য গরম আবহাওয়া কমই ছিল। আবারও রৌদ্রের তাপমাত্রা প্রখর হারে বেড়ে যাওয়ায় গরমে অতিষ্ট সাধারণ মানুষজন।দেশ তথা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।লবণাক্ত জলের নদীনালা বেষ্টিত এবং প্রায় চারশোরও বেশী গাছগাছালি নিয়ে বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন গঠিত।যদিও দেশের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ১৩ টি ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ৬ টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন গঠিত হলেও সমগ্র সুন্দরবনের প্রায় সত্তর ভাগ বাংলাদেশের অধিনস্থ। ভারত তথা পশ্চিমবাংলার এই রহস্যময় বৃহত্তম সুন্দরবন জঙ্গলে বছরের প্রায় প্রতিদিনই ভ্রমণার্থীরা বেড়াতে যান। আর সেই প্রত্যন্ত সুন্দরবন জঙ্গলে বেড়াতে যেতে হয় সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার ক্যানিং ষ্টেশন।

বর্তমান সুন্দরবনের এই প্রবেশদ্বার ক্যানিং ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিনই প্রায় লক্ষাধিক মানুষজন যাতায়াত করেন।চৈত্রের প্রখর তাপের হাত থেকে একটু শান্তি দিতে এক জলসত্রের আয়োজন করলেন ক্যানিং ষ্টেশনের জনৈক হকার শ্রীকান্ত মন্ডল।তিনি গত রবিবার থেকে এই জলসত্রের আয়োজন করেছেন।পানীয় জলের পাশাপাশি কাঁচাছোলা,বাতাসা তুলে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের হাতে। জল তেষ্টা পেয়ে ট্রেন থেকে নেমেই জলের খোঁজ করার আগেই হাতের কাছে জল,ছোলা,বাতাসা পেয়ে আনন্দিত।
ষ্টেশনের হকার শ্রীকান্ত মন্ডল বলেন “আমার একার পক্ষে ক্যানিং ষ্টেশনের এতো সাধারণ মানুষের হাতে পানীয় জল তুলে দেওয়া অসম্ভব। সেই অসম্ভব শূণ্যস্থান পূরণ করতে স্বইচ্ছায় জনসাধারনের সেবা করতে রাজেশ সেখ ও গোপাল সরদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন আমাদের এই উদ্যোগ চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে”।
চৈত্রের প্রখর রৌদ্রে নিঃস্বার্থ ভাবে এমন মানবিক কর্মসূচি দেখে সাধারণ নিত্য যাত্রী অখিল দেবনাথ,শংকর কর্মকার,মিতালী সরদার,জয়ন্ত মন্ডল’রা বলেন ”একজন  খেটে খাওয়া সাধারণ হকার যে এতোটাই মানবিক হতে পারে তার জলন্ত প্রমাণ ক্যানিং ষ্টেশনের হকার শ্রীকান্ত মন্ডল। অার বর্তমানে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের আখেরে গোছানোর জন্য সমাজসেবী সাজে!
সামান্য কর্মযঞ্জ হলেও সেই সমস্ত সমাজসেবীদের কে শ্রীকান্ত বাবুর দেখে উপলব্দ্ধি করা প্রয়োজন।”

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন