সুন্দরবন TV
বিষমুক্ত চাষ ও জৈব গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে বাসন্তীতে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির
বিষমুক্ত চাষ ও জৈব গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে বাসন্তীতে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির
নিজস্ব প্রতিনিধি | বাসন্তী | ১ এপ্রিল সোমবার |সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২৫০ জন কৃষক নিয়ে শেষ হলো ২৫ দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির। এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল ৭ মার্চ শেষ হয় ৩১ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা এর অধীন এই প্রশিক্ষণ শিবির। পতঞ্জলি বায়ো রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বাসন্তী সোনার তরী সেবা সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ শিবিরে মাটি পরীক্ষা, জল পরীক্ষা, ফসলের রোগ চিহ্নিত করা, জৈব সার তৈরি ছাড়াও নানান বিষয়ে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাসন্তী ব্লকের ৫ টি গ্রামের ২৫০ জন কৃষকদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবির টি চলে। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। রাজ্য ও ভারত সরকারের দ্বারা বর্তমান নানা সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় সেই বিষয়ে কৃষকদেরকে অবগত করা হয় এবং বিশেষ করে কৃষকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষে ১ এপ্রিল এক কৃষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মান পত্র। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পতঞ্জলি বায়ো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ডক্টর রানা জি, পতঞ্জলির বায়ো রিসার্চ রাজ্য কোষাধক্ষ্য গোবিন্দ জি, রাজ্য প্রভারী কর্মকার জি, অফিস কর্ডিনেটর ও অশোক জি, সমাজসেবী হরষিত সরকার, নিতাই নস্কর, শ্যামল প্রভারী, বিজন বাবু প্রমুখ। বিজ্ঞানী ডঃ রানা জি বলেন "পতঞ্জলি পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তরাখান্ড, বিহার, বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের প্রাথমিক স্তরে ৫০০০ জন কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে "। হাতে হাতে কাজ ঘরে ঘরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাসন্তী সোনার তরী সোসাইটির সম্পাদক ও কৃষক প্রশিক্ষক বিনয় ভকত বলেন "বিষমুক্ত চাষে জৈব গ্রাম এবং জৈব ভারত ও সবুজ ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কৃষকদের"। সোনার তরী পরিবারের সভাপতি পরেশ লাল ভকত " বলেন কৃষকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত জৈব ফসলের জন্য বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা আলাদা বাজার তৈরীর ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে সরকারি সাহায্য প্রয়োজন আছে"। অনুষ্ঠানে কৃষকদের পক্ষ থেকে শিবপ্রসাদ ভকত বলেন "এবার থেকে জমিতে রাসায়নিক এর সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করবো, আমি নিজের মতো করে অন্য কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারের পরামর্শ দেবো"। কৃষকরা জমির মাটি পরীক্ষা করার পর নিজের বাড়িতেই প্রয়োজনীয় জৈব সার তৈরি করে ফসলে ব্যবহার করলে ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চাষের খরচ অনেক কমে যায়, ফলে কৃষক পরিবার অনেক বেশি লাভ করতে পারে জৈব সার ব্যবহার করলে।