কাকদ্বীপে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারি মাসুম কে সম্বর্ধনা

সুন্দরবন TV

কাকদ্বীপে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারি মাসুম কে সম্বর্ধনা


নিজস্ব প্রতিনিধি  |কাকদ্বীপ|বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানায় সুন্দরবন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়  দ্বিতীয় স্থানাধিকারি কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র মহম্মদ  মাসুম আখতার কে  উৎসাহ প্রদান  ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাকদ্বীপ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিল কুমার রায়,  সি আই শুভব্রত ঘোষ, কাকদ্বীপ থানার ওসি সঞ্জয় দে,ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতারের বাবা সাইদুল ইসলাম,মা মনিরা বেগম, আত্মীয় স্বজন প্রমূখ।


অনুষ্ঠানে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়  দ্বিতীয় স্থানাধিকারি ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতার কে  পুস্পস্তবক, মিস্টি, বই, কলম ও স্মারক তুলে দেওয়া হয়।কাকদ্বীপ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিল কুমার রায় বলেন ছাত্র মাসুম আখতার কে সম্বর্ধনা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।তাকে উৎসাহ প্রদান করা হল।আগামী দিনে সুন্দরবনের ছাত্র ছাত্রীরা এক নতুন দিশা দেখাবে।যা শিক্ষার এক নব দিগন্ত হয়ে উঠবে।উল্লেখ্য গত ২৭ মে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানার নয়াপাড়া গ্রামে আনন্দে মেতে উঠেন গ্রামবাসীরা।কেননা এই গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ মাসুম আখতার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।তাই কাকদ্বীপের নয়াপাড়া গ্রামে সবার মুখে মুখে ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতারের নাম।ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতারের বাবা সাইদুল ইসলাম কাকদ্বীপ মহকুমা শাসক কার্যলয়ে চাকুরী করে।মা মনিরা বেগম কুলপি রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের প্যারা শিক্ষিকা।

 অনিল কুমার রায়
এস ডি পি ও কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা।

ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতারের একমাত্র বোন।মহম্মদ মাসুম আখতার সুন্দরবন আর্দশ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র।সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ছিল।এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ছাত্র মাসুম আখতার সকলের নজর কেড়ে নেই।এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মহম্মদ মাসুম আখতার মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে পায় ৪৯৬ নম্বর।বাংলা ১০০ মধ্যে ১০০ নম্বর, ইংরাজী ১০০ মধ্যে ৯৫,জীববিদ্যা ১০০ মধ্যে ১০০,অঙ্কে ১০০ মধ্যে ১০০,রসায়ন বিদ্যা ১০০ মধ্যে ৯৭,পদার্থ বিঞ্জানে ১০০ মধ্যে ৯৯ নম্বর পায়।ছাত্র মহম্মদ মাসুম আখতার বলেন আমি একজন ডাক্তার হতে চায়।আর ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।বিশেষ করে সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া মানুষের।তবে পড়াশুনার বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা সব সময় সব ধরনের সাহায্য করেছে।আমি ক্রিকেট খেলতে খুব ভালোবাসী।তাই পড়াশুনার ফাঁকে খেলতে চলে যেতাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন