কুলতলিতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার,গ্রেফতার ৬

সুন্দরবন TV

কুলতলিতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার,গ্রেফতার ৬  


অকারণ মুখোপাধ্যায়  
  কুলতলী- দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কুলতলি থানা এলাকা থেকে  প্রচুর অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করলো বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।পাশাপাশি  ছয় জন দুষ্কৃতী গ্রেফতারও করে।পুলিশ সুত্রে জানাগেছে কুলতলী থানার কৈখালী বাজারে একটি ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয় গোপন সুত্রে খবর পায় বারুইপুর জেলা পুলিশ।খবর পাওয়া মাত্রই বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস এবং কুলতলী থানার ওসি সুমন দাস সহ ১১ জনের একটি দল গঠন করে বেরিয়ে পড়েন।প্রত্যেকেই স্বসস্ত্র অবস্থায় ডাকাত দলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কৈখালী ঘাট সংলগ্ন বাজার এলাকায়।ঘড়িতে তখন রাত প্রায় একটা। কিছুক্ষণ টহল দেওয়ার পর পুলিশের নজরে পড়ে ৯ জনের একটি দল মুখে কালো কাপড় বাঁধা কাঁধে বড় বন্দুক নিয়ে আসছে। ১১জন পুলিশ কর্মী সময় নষ্ট না করেই তড়িঘড়ি  ডাকাত দলটি কে ঘিরে ফেলে এবং ডাকাতদের প্রত্যেকের মুখে টর্চের আলো মেরে আত্মসমর্পণ করতে বলে। তিনজন নদীতে ঝাঁপ পালিয়ে গেলেও দ ছয়জন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে। ডাকাতদের কাছে উদ্ধার হয় ৬ টি সিঙ্গেল ব্যারেল লং পাইপ গান, একটি ওয়ান শাটার,১২ বোর্ড এর দুটি তাজা কার্তুজ,৮ এমএম বোরের দুটি তাজা কার্তুজ, চারটি মোবাইল ফোন। ধৃত ডাকাতরা হল
খালেক মন্ডল,মহিদুল মন্ডল,এদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাটে।নূর হোসেন গাজী,কুতুব উদ্দিন মোল্লা,এদের বাড়ি হাসনাবাদ। গোপাল মন্ডল,সঞ্জীব চক্রবর্তী,এদের বাড়ি নিউ টাউন এলাকায়। এদেরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তারা কুলতলীর কৈখালী গেষ্ট হাউসে ভোরবেলা ডাকাতির ছক কষেছিল। পুলিশের ধারণা এরা জলপথে পর্যটন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল।এই দলটিকে ধরে ফেলায় ব্যাপক বড় সাফল্য পেল বারুইপুর জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন