নুরসেলিম লস্কর, বাসন্তী: প্রতিবছরের ন্যায় এবছর শারদ উৎসবের শেষে এবং লক্ষ্মীপুজোর ঠিক আগে বাসন্তী ব্লকের শিবগঞ্জ শান্তিরনীড় বৃদ্ধাশ্রম ও মহেশপুর রাখাল চন্দ্র সেবাশ্রমের আবাসিক থাকা বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিজয়া সম্মেলন করলেন মাতলা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম দাস। এদিন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থতা থাকায় নিজে যদিও এই বিজয়া সম্মেলনী তে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।
কিন্তূ বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসা বিজয়া সম্মেলন এবারে হবে না সেটা তিনি চাননি। তাই প্রধান উত্তম দাস এদিন সুন্দরবনের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কবি ফারুক আহমেদ সরদার ও কয়েকজন যুবকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন শান্তিরনীড় বৃদ্ধাশ্রম ও মহেশপুর রাখাল চন্দ্র সেবাশ্রমে গিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করার। সেই মতো এদিন ফারুক বাবু সহ ওই যুবকেরা বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বৃদ্ধা দের ও সেবাশ্রমের দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বস্ত্র, শীতের চাদর এবং বিজয়ার মিষ্টি মুখ করানোর মধ্যে দিয়ে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করলেন।আর ফারুক বাবুদের হাত থেকে নতুন বস্ত্রসহ মিষ্টিমুখ করে স্বাভাবিকভাবে খুশি ওই বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা এবং সেবাশ্রমের ছাত্রছাত্রীরা।
এদিনের এই বিজয়া সম্মেলনী সম্পর্কে ফোনে উত্তম বাবু বলেন, ” আমরা প্রতিবছর আমাদের পরিবার, প্রিয়জনদের নিয়ে শারদীয়ার আনন্দ উৎসব উপভোগ করি। কিন্তূ এই সমস্ত অসহায় দুঃস্থ মা,বোন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবার প্রিয়জন ছেড়ে এই সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা আশ্রয়ের মধ্যে থাকে। ইচ্ছা থাকলেও সারা বছর কোথাও তেমন ঘুরতে যেতে পারেনা এবং সব সময় উৎসব আনন্দ করতে পারেনা পরিবার প্রিয়জনের সঙ্গে ।তাই আমরা এনাদের কে পরিবারের লোকজনের মত প্রিয়জন আপনজন ভাবি।তাই প্রতিবছর নানান রকম অনুষ্ঠানের সুখ দুঃখ আমরা ভাগ করে নিই এই সকলের সঙ্গে।
আর প্রধান উত্তম দাসের অনুপস্থিতিতে এই কর্মকাণ্ডের সমস্ত ব্যবস্থাপনা করা সুন্দরবনের কবি ও সমাজসেবী ফারুক বাবু বলেন, “উত্তমবাবু মহান ব্যক্তিত্ব সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের সাথী ।উনি নানান ব্যস্ততার মধ্য থেকে সব দিক সব মহল থেকে সব শ্রেণির খবর রেখে নিজের হৃদয়ের সাথী ভেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন সারা বছর। আমি ওনার এই অসহায় মানুষদের প্রতি মহান মানবিক উদ্যোগের জন্য ঐশ্বরিক সার্বিক মঙ্গল কামনা করি সব সময়”।
বিজ্ঞাপন
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক অমল নায়েক। এবং রাখাল চন্দ্র সেবাশ্রম এর কর্ণধার অমল কৃষ্ণ পন্ডিত। ওনারাও একসঙ্গে উত্তম বাবু এবং ফারুক বাবুকে এমন দায়বদ্ধ মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে ঐশ্বরিক সুস্থতা ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।