মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে ক্যানিংয়ে প্রেস কর্নার
নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে ক্যানিংয়ে চালু হল ক্যানিং মহকুমা প্রেস কর্নার। ক্যানিং মহাকুমার সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ক্যানিং SDO তে চালু হলো এই প্রেস কর্নার। এই প্রেস কর্নারের দাবি দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে করে আসছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার সাংবাদিকরা। এমনকি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এক প্রশাসনিক বৈঠকেও এই প্রেস কর্নারের দাবি জানাই এই মহাকুমার সাংবাদিকরা। সেই সময় তৎক্ষণাৎ তৎকালীন জেলা শাসক কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ক্যানিং মহকুমা প্রেস কর্নার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপর কোন এক অজ্ঞাত কারণে থমকে যায় ক্যানিং মহাকুমার সাংবাদিকদের প্রেস কর্নারের স্বপ্ন। কিন্তু কি সেই অজ্ঞাত কারণ তা আজও না জানা গেলেও তার দেখা যায় ক্যানিংয়ের আশপাশে গজিয়ে উঠে অন্য কয়েকটা প্রেস ক্লাব কিন্তূ এই সবের পরে প্রেস কর্নারের স্বপ্নকে থমকে গেলেও থমকে থাকে নি ক্যানিং মহাকুমার সাংবাদিকরা। বিশেষ করে নিউজ সারাদিন সংবাদপত্রের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল সহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক এই ক্যানিং মহকুমা প্রেস কর্নারের জন্য লড়াইটা জারি রেখেছিল সর্বক্ষণ। নিউ সারাদিন সংবাদপত্রের সম্পাদক তো এই থমকে থাকা প্রেস কর্নারের জন্য কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আবারো চিঠি দেন।
আর ক্যানিং মহাকুমার সাংবাদিকদের এই তোড়জোড় শুরুর পরেই অবশেষে জেলা শাসকের নির্দেশে ক্যানিং মহাকুমা কার্যালয়ের নিচের তালায় একটি রুম দেওয়া হয় সাংবাদিক দের ক্যানিং মহাকুমা পেশ কর্নারের জন্য। সেখানে সরকারি ভাবে চালু হয় ক্যানিং মহাকুমা প্রেস কর্নার। এদিন ক্যানিং মহকুমা কার্যালয়ে একটি ঘরের পাশাপাশি সরকারি ভাবে দেওয়া প্রেস কর্নার কে দেওয়া হয় একটি আলমারি এগারোটি চেয়ার সহ একটি টেবিল। এরপর অবশ্যই ক্যানিং মহকুমার সাংবাদিকরা দাবি জানান যে ইন্টারনেট লাইন এবং একটি টিভি দেওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট লাইন এবং টিভির না পেলেও প্রেস কর্নারের জন্য অফিস রুমের ব্যবস্থা হওয়ার ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্যানিং মহকুমার সমস্ত সাংবাদিকরা।আর এদিন ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী বিধানসভার বিধায়ক শ্যামল মন্ডল প্রেস কর্নার পরিদর্শনে এসে বলেন, ” সাংবাদিকরা ২০১৭ সালের মার্চ মাসে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর এক প্রশাসনিক বৈঠকে এই বেশ কর্নারের আবেদন করেছিলেন ক্যানিং মহকুমা প্রেস কর্নারের জন্য। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ চেয়েছিলেন ক্যানিং মহাকুমা প্রেস কর্নার করে দেওয়ার জন্য। আর সেই নির্দেশে ক্যানিং মহকুমা কার্যালয়ে চালু হলো ক্যানিং মহাকুমা প্রেস কর্ণারটি। তিনি আরো বলেন, এই মহাকুমার সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। ১৯৯৩ সালে চালু হয়েছিল ক্যানিং মহকুমা আর এবারে চালু হল সাংবাদিক দের জন্য মহাকুমা প্রেস কর্নার। আর এই প্রেস কর্নারে যাতে ইন্টারনেট লাইন এবং টিভির ব্যবস্থা করা যায় আমি সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো “।