দুয়ারে সরকার ষষ্ঠ পর্যায়ের অন্তিম লগ্নে পৌঁছালেও বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত একাধিক গ্রামের মানুষজন
বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলী
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী বিধানসভার অধীনস্থ দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের শ্যামনগর মাঝেরপাড়া, দেউল বাড়ির মাধবপুরের মমতা পল্লী, জয়নগর দুই ব্লকের নলগোঁড়া অঞ্চলের চার নম্বর নলগোঁড়ার বৈদ্য পাড়া, গোপালগঞ্জ সহ একাধিক অঞ্চলের ময়রার চক। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক দুয়ারে সরকার অন্তিম লঙ্গে পৌছালেও এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত একাধিক গ্রামের মানুষজন। বিশেষ করে এই মুহূর্তে গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে ৪২ ডিগ্রির বেশী সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে ও নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষরা সারা দিনের খাটাখাটনির পর একটু শান্তিতে ঘুমাতে যাবে তারই নিস্তার নেই। একাধিক নূতন এলাকায় বিদ্যুতের পরিসেবা নেই। সারাদিনের ক্লান্ত অবসরে একটু নিদ্রা যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে পাখা চালিয়ে একটু আরাম নেওয়ার ভাগ্যে জুটছে না এই সমস্ত পরিবারের । দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত গ্রামের মানুষজন বিদ্যুৎ দপ্তর ও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকরণে জানিয়ে সুফল না মেলায় তাতেই খোপে ফুঁসছে গ্রামবাসীরা। এদের ক্ষেত্রে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র তো দূরের কথা একটু অবসরে বিদ্যুৎ চালিত পাখা যাদের ভাগ্যে জোটে না তাদের আবার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এটাই ভাবা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বারে বারে জানালেও দুয়ারে সরকারে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বারে বারে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এলেও এখনো অধরা, কবে মিলবে এই সমস্ত জনগোষ্ঠীরা পাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। নয় নম্বর সোনাটিকারী বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকলেও ল্যাম্পের আলোর মত মিটিমিটি করে জলে। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামলেই তো জোনাকির মতো মিটমিট করে জ্বলতে থাকে আলো। কুলতলী ব্লকের মেরিগঞ্জ এক নাম্বার ও দু’নম্বর অঞ্চলের মানুষ জন ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার ক্যানিং পাওয়ার হাউস থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছায় এই দুটি অঞ্চলে। আর বিশেষ করে গ্রীষ্মের প্রখর তাপের জন্য অধিক মাত্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় মিটমিট করে জ্বলে আলো। ব্যতিক্রম এই সমস্ত অঞ্চলের মানুষজন দীর্ঘদিন যাবত লো ভোল্টেজের কারনে অস্বস্তিতে পড়ছে। তাদের দাবি কুলতলী পাওয়ার হাউসের সঙ্গে যুক্ত হবে সেই আশায় প্রহর গুনছে । বিদ্যুৎ বিহীন ও লো ভোল্টেজের যন্ত্রণা থেকে কবে রেহাই পাবে তারই পথ চেয়ে রইল কুলতলীবাসী।