ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে বাবা-মা! জানতেই পারলো না দুই ছেলে ।
নুরসেলিম লস্কর, ক্যানিং : বন্ধ ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাবা-মায়ের মৃত দেহ। জানতেই পারলো না দুই ছেলে। সোমবার সকালে এমনি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো ক্যানিংবাসী। ক্যানিং থানার অন্তর্গত এক নম্বর দিঘিরপাড় গ্রামে থাকতেন রঞ্জিত ব্যানার্জী(৮৪) ও কবিতা ব্যানার্জী (৭৬) নামের দুই বৃদ্ধ দম্পতি।
প্রতিবেশীদের দাবি, এই বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন। কাছাকাছির মধ্যে বারাসাতে থাকতেন বড়ছেলে। প্রত্যেক সপ্তাহে সে এসে খোঁজ খবর নিয়ে যেত বাবা মায়ের। কিন্তূ সে লক্ষ করে দুদিন ধরে বাবা মায়ের ফোন সুইচ অফ আসছে! তাই সে রবিবার রাত্রে ক্যানিংয়ে আসে আর এসে প্রত্যেক বারের মতো বাবা মা কে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া শব্দ পায়নি সে। তখন সে ভাবে রাত হয়ে যাওয়ার ফলে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন তাঁরা। তাই আর বেশি ডাকাডাকি না করে পাশেই তার এক পিসির বাড়িতে চলে যায় ঐ দম্পতির বড় ছেলে চিরঞ্জিত ব্যানার্জি। সেখানেই রাত্রী নিবাস করে সে।
আর এবিষয়ে চিরঞ্জিত ব্যানার্জী বলেন, “বাব-মা দুজনেই কানে কম শোনেন। বাড়ির দোতলায় থাকেন তাঁরা। তাই ভেবেছিলাম হয়তো বাবা-মা শুনতে পাননি। দোতলায় থাকেন তাই শুনতে পাচ্ছেন না। তাই দরজা খুলছেন না। তাই ওই রাতে চলে যাই। ভেবেছিলাম সকালে বাবা-মা ব্রেকফাস্ট করতে উঠলে বাবা-মা সঙ্গে দেখা করব। এমনটা ভেবেই পিসির বাড়িতে রাত কাটিয়ে দিই।
এদিকে, সোমবার সকালে বারবার ডাকাডাকি করলেও রঞ্জিতবাবু ও কবিতা দেবীর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপরই দরজা ভেঙে ফেলেন প্রতিবেশীরা। তারপর সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বারান্জায় পড়ে রয়েছেন কবিতা দেবী। অন্যদিকে, রঞ্জিতবাবুর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে খাটের উপরে। এরপরই খবর দেওয়া হয় ক্য়ানিং থানায়। সেখান থেকে পুলিস এসে মৃতদেহদুটি তুলে নিয়ে যায়। ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।